ভ্রমণ কিংবা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকার সময় যদি দেখেন ফোনের চার্জ প্রায় শেষের দিকে, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ গাড়ির ইউএসবি পোর্টে মোবাইল চার্জ দিয়ে থাকেন। কিন্তু গাড়ির ইউএসবি পোর্টে মোবাইল চার্জ দেওয়াটা মোবাইলের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে।
কারণ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ধরনের ওপর এর ব্যাটারির আয়ু নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে মুঠোফোনে চার্জ দেওয়ার পদ্ধতি ও চার্জারের ধরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাড়ির পোর্টের মাধ্যমে যে প্রক্রিয়ায় মোবাইলে চার্জ দেওয়া হয়, সেটি মোবাইলে জন্য ক্ষতিকর। বেশির ভাগ মানুষই এ ক্ষেত্রে গাড়ির সিগারেট লাইটার ব্যবহার করেন, যা ১২ ভোল্টের।
ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস মেরামতকারী ফ্যাঞ্চাইজ ইউব্রেকিফিক্সের ট্রেইনিং ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার জসুয়া সাটন বলেছেন, চার্জিংয়ের সময় স্মার্টফোন সাধারণত ৫ ভোল্টেজ ব্যবহার করে। ফলে অ্যাডাপটার নিরাপদে ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু অ্যাডাপটারে যদি কোনো সমস্যা থাকে কিংবা সেটি যদি ফোনের আসল অ্যাডাপটার না হয়, তাহলে তার মাধ্যমে ফোনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হতে পারে, যা ফোনের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষতি ধরা যায় না। এসব ক্ষেত্রে ফোনের ব্যাটারি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায়।
সাটন আরও বলেছেন, এতে ফোনের চার্জিং পোর্ট কিংবা মাদারবোর্ড নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যা সারাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। সবচেয়ে আদর্শ উপায় হচ্ছে সঠিক বিদ্যুৎ প্রবাহ ও মানসম্মত চার্জিংয়ের জন্য আপনার ফোনের নির্মাতা কোম্পানির তৈরি কার চার্জার ব্যবহার করা।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি গাড়ির খুঁটিনাটি জিনিস সম্পর্কে এবং চার্জিংয়ের জন্য কোন ক্যাবল ব্যবহার করছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। যদি পাওয়ার আউটপুট সম্পর্কে আপনার সন্দেহ থাকে, তাহলে সাটনের পরামর্শ হচ্ছে ভালো মানের পাওয়ার ইনভার্টার ব্যবহার করা।
ভালো পাওয়ার ইনভার্টার গাড়ির পাওয়ার আউটলেট থেকে অস্বাভাবিক চার্জ দ্রুত শনাক্ত করতে পারে এবং স্মার্টফোনে নিরাপদে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। পাওয়ার ইনভার্টার গতানুগতিক কার চার্জারের চেয়ে আকারে বড়, কিন্তু ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে চার্জ দেওয়া উচিত নয়। কারণ, গাড়ি চালানোর সময় চালকের হাত স্টিয়ারিং থেকে সরে গেলে বা চোখ রাস্তা থেকে সরে গেলে তা চালক এবং তার আশপাশের সবার জন্যই খুবই বিপজ্জনক।