বিধিনিষেধের মধ্যেও পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে এক কোটির বেশি মোবাইল সংযোগ রাজধানী ঢাকার বাইরে গেছে। আর শনিবার পর্যন্ত ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৩ সংযোগ আবারও ঢাকায় ফিরেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাকায় ফেরার এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৫ থেকে ২১ মে পর্যন্ত মোবাইল সংযোগের অবস্থান ট্র্যাকিং করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জাগো নিউজকে তিনি জানিয়েছেন।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ফেরা সংযোগের মধ্যে গ্রামীণফোনের রয়েছে ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯৯, রবির ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৪৬, বাংলালিংকের ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৭, আর সরকারি টেলিটকের রয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩১১ টি সংযোগ।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটা মূলত ঢাকার বাইরে যাওয়া-আসা মোবাইল সংযোগের হিসাব। লোকজনের হিসাব নয়। কারণ ১৮ বছরের নিচে অনেকেই আছেন যাদের সিম নেই, আবার একেকজনের কাছে দুই-তিনটাও সিম আছে। কারো স্বামীর দুই তিনটা কিন্তু বউয়ের একটি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মোবাইল সংযোগের অবস্থান ট্র্যাকিং করে এ তথ্যগুলো পেয়েছি। আমাদের টেলিকম টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি কারো চাইতে এক চুল পরিমাণ পেছনে নেই। বরং আমরা সামনে আছি। যদি হেলথ মিনিস্ট্রি করোনার ডাটা চাইত, আমি বলতে পারতাম কোন বাড়িতে কতজন করোনা রোগী আছে। এ ধরনের কারিগরি ব্যবস্থা অলরেডি আমাদের কাছে ডেভেলপ করা আছে। এবং ফিউচারে আমরা এটাও জানাতে পারব, কোন সিমের সাথে আপনি কোন মোবাইল সেট ইউজ করছেন। এগুলো আমরা করছি কারণ এগুলো নিরাপত্তার জন্য খুবই জরুরি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যত ডিজিটাল হবে; তথ্য নিরাপত্তা জরুরি হবে। এখনই আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা সংকটে আছি। এই সংকট আরও বাড়বে। সুতরাং টেকনোলজি ছাড়া আর কোনো কিছু দিয়ে এটা মোকাবিলা করা যাবে না।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী মোবাইল ফোনের সংযোগে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। তাদের সংযোগ সংখ্যা ৮ কোটি ৭৫ লাখ। রবির রয়েছে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার সংযোগ। যা দ্বিতীয় স্থান। অন্যদিকে বাংলালিংক আছে তৃতীয় স্থানে। তাদের সংযোগ সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার। আর টেলিটকের সংযোগ সংখ্যা ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার।