টাইপিং অনেক দ্রুত কাজ সমাধান করা গেলেও হাতে লেখায় মস্তিষ্কে বেশি উদ্দীপনা তৈরি হয়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক পিয়ার-রিভিউড জার্নাল ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
গবেষণায় ৩৬ জন শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কের ক্রিয়া রেকর্ড করেন ‘নরওয়েইজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনটিএনইউ)’র গবেষকরা।
হাতে লেখার মাধ্যমে মানুষ নিজের শেখার ক্ষমতার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটাতে পারে বলে তারা গবেষণায় দেখেছেন।
শুরুতে শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশ ছিল, তারা যেন ডিজিটাল কলমের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ডিভাইসের স্ক্রিনে ‘টাচ’ করে শব্দ লেখেন ও কিবোর্ডের মাধ্যমে একই শব্দ টাইপ করেন।
এর মাধ্যমে দেখা যায়, কীভাবে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষ সক্রিয় হয় ও কীভাবে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
গবেষণার সহ-লেখক ও ‘এনটিএনইউ’র নিউরোসাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অড্রে ভ্যান ডের মির জানান, গবেষণায় আমাদের মূল প্রাপ্তি হচ্ছে, হাতে লেখার ক্ষেত্রে তাদের মস্তিষ্কের প্রায় পুরো অংশই সক্রিয় ছিল। সে তুলনায় টাইপরাইটিংয়ের বেলায় এমন খুব কমই ঘটেছে।