মেক্সিকোর একটি জাদুঘরে এলিয়েনের দেহাবশেষ প্রদর্শন করে বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এক গবেষক। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তা আসলে এলিয়েন কিংবা ভিনগ্রহের প্রাণী নয়, বরং বিভিন্ন প্রাণীর হাঁড় দিয়ে তৈরি পুতুল। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা শেষে ১৫ জানুয়ারি সবার সামনে এই তথ্য উন্মোচন করেন বিজ্ঞানীরা।
গত বছর সেপ্টেম্বরে মেক্সিকো শহরে এলিয়েন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেইমি মসান অদ্ভূত আকারের মরদেহ প্রকাশ করেন। তার দাবি, পেরুর একটি খনি থেকে তিনি এগুলো আবিস্কার করেছেন। দেখতে কিছুটা মানুষের মতো হলেও এগুলো আকারে অনেক ছোট এবং পুরোপুরি মানুষের মতো নয়। হাজার বছর পুরোনো দেহাবশেষ দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন মূলত ইউএফওপ্রেমীরা। দেহাবশেষগুলো দেখে তারা সন্দিহান হয়ে পড়েন। মনে উঁকি দেয় ‘এলিয়েন’ থাকার সম্ভাবনার বিষয়টি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ছবিগুলো ভাইরাল হয়।
বিষয়টি নিয়ে বার্তা দেয় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও। নাসার এলিয়েন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান ডেভিড স্পার্জেল বিজ্ঞানীদের কাছে সব তথ্য উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান।
প্রায় চার মাস বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। পেরুর লিগাল মেডিসিন অ্যান্ড ফরেনসিক সাইন্স এর প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্লাভিও এসত্রাদা বলেন, ‘এগুলো এলিয়েন নয়। এই পৃথিবীর একাধিক প্রাণীর হাঁড়কে আঠা দিয়ে জোড়া লাগিয়ে পুতুল বানানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, এটি পুরোপুরি বানোয়াট একটি গল্প।