কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পরিচিতজনের কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করে একটি ভয়েস পাঠিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা হতে পারে। এই অভিনব পদ্ধতি এতটাই নিখুঁতভাবে করা হয় যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ধরা অসম্ভব। তেমনি ইউটিউবের ভিডিও লাইক করতেই ৩৩ লাখ খুঁইয়েছেন এক তরুণী!
এআই ভয়েস ক্লোনিং জালিয়াতি কী?
এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের আরেক নাম ভয়েস সিন্থেসিস বা ভয়েস মিমিক্রি। আসলে এটি একটি প্রযুক্তি, যা মেশিন লার্নিং বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে, যে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করে। এই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন সামান্য পরিমাণে ভয়েস ডেটা।
আর যার ভয়েস নকল করা হচ্ছে, তার কণ্ঠস্বর। একাধিক ফ্রি এবং পেইড টুল রয়েছে, যার দ্বারা একজনের গলার নকল খুব সহজেই অন্যজন করে ফেলছেন।
এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে চাইলে ভয়েস নোট অনলাইনে রাখা যাবে না। এ ছাড়া যখনই এই ধরনের কল এলে বিশ্বাস না করে সেই ব্যক্তির আসল নম্বরে দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হোন এবং পুরো বিষয়টা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি কেউ ফোন করে আপনার বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন বলে দাবি করে টাকা চায়। তবে টাকা পাঠানোর আগে আসল ঘটনা জেনে নিতে হবে।