মায়ের বুকের দুধে প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিক (অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা) শনাক্ত করেছেন ইতালীয় বিজ্ঞানীরা। এতে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে তারা মনে করেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকজনিত ঝুঁকির তুলনায় শিশুর জন্য মায়ের দুধের উপকারিতা বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, তিন-চতুর্থাংশ নমুনার মধ্যেই মাইক্রোস্কপিক প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব আছে। গবেষকেরা বলছেন, রাসায়নিক দূষণের কারণে নবজাতকেরা ঝুঁকির মধ্যে আছে। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
গবেষণায় অংশ নেয়া মায়েদের খাবারের ধরন, প্লাস্টিকের মোড়কজাত পানীয় পান ও সামুদ্রিক খাবার গ্রহণ, প্লাস্টিকের মোড়কজাত প্রসাধনীর ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে বুকের দুধে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতির সঙ্গে এগুলোর কোন ধরনের সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষকে অনিবার্যভাবেই পরিবেশজুড়ে বিদ্যমান প্লাস্টিক কণার সংস্পর্শে আসতে হয়। ইতালির পলিটেকনিকা দেল মারচে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভ্যালেন্তিনা নোতারস্তেফানো বলেন, ‘বুকের দুধে প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার মধ্য দিয়ে নবজাতকদের জন্য আমাদের উদ্বেগ বেড়েছে।’ তিনি বলেন ‘গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যপানের সময়ে কীভাবে এগুলোর সংস্পর্শ কমানো যায়, তা বের করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে।’
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্লাস্টিকজাত খাবার ও পানীয়, প্লাস্টিকে থাকা প্রসাধনী ও টুথপেস্ট এবং সিনথেটিক কাপড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন এ বিজ্ঞানী।