তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময়ে স্মার্টফোনেই ব্যাংকের সব কাজ সারতে পছন্দ করেন ব্যবহারকারীরা। খুব সহজেই এ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, রিচার্জ করা সবই ঘরে বসে করতে পারেন। তবে স্মার্টফোন হ্যাক করে প্রতারকরা খালি করতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা। তাই নিরাপদে থাকতে নিম্নের পাঁচটি ভুল করবেন না।
সাধারণ পাসওয়ার্ড: স্মার্টফোনে অনেকেই পাসওয়ার্ড ব্যবহারে উদাসীন থাকেন। পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও তা থাকে খুবই সাধারণ। ফোন নম্বরের শেষের কয়েকটি ডিজিট বা নিজের জন্ম তারিখ দেন অনেকেই। এই ভুলে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই স্মার্টফোন হ্যাক করতে পারে হ্যাকার। যে কোনো পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে অবশ্যই কিছুটা ইউনিক পাসওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করুন।
পুরোনো সফটওয়্যার: যে কোনো সফটওয়্যারেরই পুরোনো সংস্করণগুলোতে ‘সিকিউরিটি ফিচার’ থাকে না। ফলে নিরাপত্তা বরাবরই কম। অনেক মানুষই আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করার কারণে প্রতারকদের শিকার হন। সব সময় নিজের ডিভাইস আপগ্রেড করে রাখা দরকার।
অপরিচিত লিংকে ক্লিক: প্রতারকরা নানাভাবে প্রতারণা করছে। স্মার্টফোন হ্যাক করার অন্যতম এক উপায় হচ্ছে অপরিচিত মেইল। যাকে বলা হয় ফিশিং মেইল। অনেকেই না জেনে যে কোনো মেইল বা ইনবক্সে আসা মেইল ওপেন করেন। ফলে খুব সহজেই সেই স্মার্টফোন হ্যাক করে নেয় হ্যাকার। তাই অপরিচিত কোনো মেইল দেখে সন্দেহজনক মনে হলে সেটি খুলবেন না বা ডাউনলোড করবেন না।
অ্যাপ ডাউনলোডে সতর্কতা: অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইনবক্সে শেয়ার করা লিংক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। ভুলেও এই কাজটি করবেন না। অ্যাপের মতো দেখতে বিভিন্ন ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন বা স্পাইওয়ার ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্রাউজার বা বিভিন্ন জায়গায়। সেসব একবার নামিয়ে ফেললেই কিন্তু সর্বনাশ।
সেসব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই চুরি যেতে পারে আপনার ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোডের সময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের মতো অথোরাইজড জায়গা থেকেই ডাউনলোড করুন।
ডিভাইসের অ্যাক্সেস: অনেক সময় কাছের মানুষদের কোনো চিন্তা ভাবনা না করেই ডিভাইসের অ্যাক্সেস দেন। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অননুমোদিত অ্যাক্সেস অবশ্যই ঝুঁকি বহন করে। অননুমোদিত অ্যাক্সেস সহজেই কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।