বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিপিএন ‘ম্যান ইন দ্য মিডল’, ‘ডিএনএস স্পুফিং’ জাতীয় সাইবার হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। এর ভালো দিক হচ্ছে, ভিপিএন ব্যবহারকারীর সব তথ্য এমন একটা কোডে রূপান্তরিত হয় যা বিশেষ অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া ডিক্রিপ্ট করে দেখতে পারেন না। যার ফলে হ্যাকার, সরকারি সংস্থা এমনকি আইএসপি বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারও ইউজারের তথ্য মনিটর করতে পারে না। তবে ভিপিএন সার্ভার সস্তা বা দুর্বল হলে তা সহজেই হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে। আপনি যদি একজন ফ্রি ভিপিএন ব্যবহারকারী হন আপনাকে মনে রাখতে হবে ফ্রি ভিপিএনের আইপি সহজেই হ্যাক করা সম্ভব।
ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার যদি করতেই হয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—
প্রোটন ভিপিএন (ProtonVPN): এটি তৈরি করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রোটন টেকনোলজিস এজি। প্রোটন ভিপিএন শক্তিশালী এনক্রিপশন প্রোটোকল। বলা হয়ে থাকে একটি কঠোর নো-লগ নীতিতে এটি পরিচালিত হয়। ফ্রি ব্যবহার করলে এর সুবিধাগুরো সীমিত থাকে। তবে যারা কিনে ব্যবহার করেন তাদের তথ্য কঠোরভাবে গোপন রাখা হয়।
অ্যাটলাস ভিপিএন (AtlasVPN): এই ভিপিএনটি তৈরি করেছে পিকস্টার টেকনোলজিস ইনকর্পোরেটেড। এটিও শক্তিশালী এনক্রিপশন। এতে নো-লগ নীতিসহ নিরাপদ ব্রাউজিং অফার রয়েছে। ফ্রিতে অল্প কিছু কিছু ফিচারের বাইবে ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায় না।
WARP 1.1.1.1 অ্যাপ: এই ভিপিএন অ্যাপটি তৈরি করেছে ক্লাউডফ্লেয়ার। এতে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সুবিধা আছে। এটি নিরাপদ এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগের উপর গুরুত্ব দেয়। মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। এটি ব্যবহার করলে সার্ভার অ্যাক্সেস কমতে পারে। মোবাইল ধীর গতির হতে পারে।