ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো ফিনান্সিয়াল সফটওয়্যারের তৈরির ক্ষেত্রেও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় আর্থিক নিরীক্ষা খাতে বিদ্যমান স্থবিরতা কাটিয়ে এই খাতটি একটি সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হচ্ছে। তিনি নিরীক্ষা কাজের জন্য টুলস তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই লক্ষ্যে তিনি সরকারের গৃহীত উদ্যোগ সফল করতে আইসিটি সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী গতকাল ৬ মার্চ শনিবার রাতে ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বাংলাদেশ(আইক্যাব) এর উদ্যোগে ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আইক্যাব সভাপতি এমএইচ হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং আইক্যাব নেতা আলী আশফাকের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে সফটওয়্যার সম্পৃক্ত পণ্য জিডিপিতে বড় অবদান রেখেছে উল্লেখ করে বলেন, মেধাসম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির শতকার ৩৭ ভাগ অবদান রাখছে। বাংলাদেশ হয়ত ওরাকলের মতো বড় বড় সফটওয়্যার বানাতে পারে না কিন্তু সক্ষমতায় আমরা বহু দূর এগিয়ে। পৃথিবীর ৮০টি দেশে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। দেশের কম্পিউটার বিকাশের অগ্রদূত ও কম্পিউটারে বাংলার প্রবর্তক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে। ১৯৮৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত এদেশে কম্পিউটার ছিলো বিশেষ ব্যক্তি, পেশা ও বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারের যন্ত্রমাত্র। কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের পর এর প্রসার শুরু হয়।১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে যুগান্তকারি অবদান রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা্ বিস্ময়কর উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার। করোনাকালে এর প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করেছে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। তিনি বলেন, করোনার আগে দেশে একহাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতো করোনাকালে তা ২১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। অথচ ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৮জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যাবহার হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ যা বর্তমানে ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
বক্তারা, আইটি নির্ভর অডিট শিক্ষা কার্যক্রম সিলেবাসে অন্তর্ভক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।