ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ভবিষ্যতের শিল্প কারখানা হবে ফাইভ- জি প্রযুক্তি নির্ভর। শিল্প কারখানা যেমন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চলবে তেমনি কারখানা থেকে ডিজিটাল পণ্যও উৎপাদন হবে। তিনি বলেন, সভ্যতার মহাসড়ক হচ্ছে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সেই লক্ষ্যে দেশের সকল অর্থনৈতিক অঞ্চল ফাইভ-জি সংযোগের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে। তিনি বিটিসিএলসহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরিতে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিসিএল কল্যাণ তহবিল থেকে বিটিসিএল কর্মচারিদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা অনুদান বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন বক্তৃতা করেন। বিটিআরটি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড.শাহজাহান মাহমুদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের উধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মানবিক কাজ করার পাশাপাশি উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, টেলিকম খাতের জন্য ভবিষ্যত সংকটের নাম দক্ষমানব সম্পদ। সাধারণ শিক্ষা প্রয়োজনীয় মানব সম্পদ তৈরি করছে না। তিনি কল্যাণ তহবিলের আওতায় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ায় বিটিসিএল এর উদ্যোগ সময়োচিত কাজ উল্লেখ করে বলেন, টেলিকম খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এই তহবিল থেকে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিতে হবে।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বিটিসিএলকে সময়ের প্রয়োজনে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রচলিত শিক্ষার সাথে নতুন প্রযুক্তি সংযুক্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে উদ্দেশ্য সফল হবে না। তিনি বিটিসিএল পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে বিশেষায়িত জনবলের প্রয়োজনীতা তুলে ধরে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার আইটি ক্যাডার সার্ভিস থাকা উচিৎ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বিদ্যমান টেলিকম ক্যাডার সার্ভিসের সাথে আইটি সংযুক্ত করে এই সার্ভিসটিকে যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন ফলপ্রসূ উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বিটিসিএল আজ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন,জিপনসহ বিটিসিএল এর আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবায় নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে।
ড.রফিকুল মতিন বিটিসিএলকে আধুনিকায়নে গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ১৭২জন কর্মচারির সন্তানদের মধ্যে শিক্ষা অনুদান বিতরণ করা হয়।