ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্প-বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় রূপান্তর করে বাংলাদেশের প্রচলিত জীবনধারা বদলে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় বিস্ময়কর সফলতা দেখিয়েছে যা অনেক উন্নত দেশও পারেনি।
অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন খোদ আমেরিকায় মানুষ চিকিৎসা পায়নি-ওষুধ পায়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুচারু দক্ষতার সাথে করোনাকে মোকাবেলা করেছে। আমাদের জীবনযাপন বা অর্থনীতি কেবল সচল ছিলোনা আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি অন্যদেরকে ছাড়িয়ে গেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আজ ঢাকায়, ঢাকাস্থ বৃহত্তর বগুড়া জেলা সমিতির ইফতার মাহফিল উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান্।
করোনাকালে জীবনযাত্রা সচল সজিব রাখার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বুঝতে হবে করোনার আগের জীবনধারা এখন আর বিদ্যমান নেই এবং সামনের দিন এখনকার অবস্থায় বিরাজ করবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল ব্যবসায় রূপান্তর হবে।প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিকে রূপান্তর করবে মিশ্র বা ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি। এই ক্ষেত্রে শ্রেণি-কক্ষের পাশাপাশি অনলাইনেও শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ও বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিকে অনুন্নত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন আগামী দিনে মৎস্য ও কৃষিখাতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে আছে বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনে আইওটি যন্ত্রই কৃষককে বলে দিবে কখন তার জমিতে সার বা সেচ দিতে হবে এবং কী পরিমান লাগবে সেটাও জানতে পারবে।
মাছ চাষেও এই প্রযুক্তি আমূল রূপান্তর ঘটাবে বলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, করোনাকালে দেশে একহাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ ব্যবহৃত হতো, করোনাকালে তা বেড়ে ৩৪শত জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। দুই হাজার আট সালেও দেশে মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো বর্তমানে তা ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ইন্টারনেট মানুষের জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।
বৃহত্তর বগুড়া জেলা সমিতির সভাপতি কেএইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার বক্তৃতা করেন।