বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত প্রায় এক বছর এখানে বসবাস করে উপলব্ধি করেছেন যে এই দেশে না আসলে এর অসাধারণ অগ্রগতি অনুধাবন করা কঠিন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বের প্রশংসা করেন ও বাংলাদেশের জনগণকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বাংলাদেশের সাথে পারষ্পরিক সহযোগিতা করার আগ্রহের কথা বলার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে তুরুস্কের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর সাথে আজ বুধবার অনলাইনে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান তুরস্কের এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে তারা দ্বি-পক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রারণ ও অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও তুরস্কের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন মাত্র কয়েক বছর আগেও শতভাগ ইলেকট্রিক পণ্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশকে আমদানি করতে হতো।
বর্তমানে শতভাগ ইলেকট্রিক পণ্য বাংলাদেশ উৎপাদন করছে। তিনি বলেন একসময় সাড়া পৃথিবী ছিল ইউরোপে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যের ক্রেতা। বর্তমানে সেই চিত্র আর বিরাজ করে না। বাংলাদেশ এখন মোবাইল ফোন উৎপাদন করছে, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমেরিকা, নাইজেরিয়া ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। আগামী একবছরে স্থানীয় উৎপাদিত মোবাইলে দেশের শতভাগ চাহিদা পূরণ হবে। বাংলাদেশ তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে কমপ্রেসার রপ্তানি করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশে রূপান্তর লাভ করেছে।
তিনি সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের তুরস্ক এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের গত একদশকের অগ্রগতিতে বিস্ময়কর উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ব মানচিত্রে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্য রকম একটি দেশ। তিনি বাংলাদেশে তার গত ১১ মাসের কর্মকালে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ডিজিটাল পদ্ধতির প্রায়োগিক ক্ষেত্রে খুবই তৎপর। তারা প্রযুক্তি ব্যবহার ও প্রযুক্তি জ্ঞানার্জনে খুবই আগ্রহী। অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এটা একটা মিরাকল বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও তুরস্ক ঐতিহাসিক সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, উপনিবেশ থেকে স্বাধীকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জনতার সমর্থন তুরস্ক কোন দিনও ভুলবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তুর্কী বীর কামাল পাশাকে তার কবিতায় তুলে এনে তুরস্কের সাথে এই অঞ্চলের সেতুবন্ধন রচনা করেছেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন