ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক। তার মতে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। এরই ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগখাত হচ্ছে ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের মুখ্য বিষয় ।তিনি গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নের টেলিযোগাযোগখাত সংশ্লিষ্টদের আরও যত্মশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।তিনি বলেন, উন্নত গ্রাহক সেবার বিষয়টি এখনো পর্যাপ্ত নয়। মোবাইল ফোন অপারেটর সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে আরও তৎপর হতে হবে।
মন্ত্রী আজ জিএসএমএ এর বাংলাদেশ মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ট্যাক্স স্টাডি এর উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গেস্ট অব অনার হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জিএসএমএ টিমের জুলিয়ান গোরম্যানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিডা‘র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুত কুমার সরকার, জিএসএমএ টিম কর্মকর্তা জেনস বেকার এবং অ্যামটবের সেক্রেটারি জেনালেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:)এসএম ফরহাদ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ জাতির একটি স্বপ্ন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রাথমিক কাজ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করে ছিলেন। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছরে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীতে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ এক গুরুত্বপূণ সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে কম্পিউটার বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার এবং টেলকোসমূহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি। তিনি বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল যুগে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। কোভিডকালে তা প্রমাণিত হয়েছে। প্রযুক্তির আধুনিক ভার্সন ফাইভজি ২০১৮ সালে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভজি হচ্ছে চতুর্থ শিল্প যুগের প্রযুক্তি। ২০২১ সালের মধ্যে ফাইভ জি সেবা চালু করার সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, আগামী দিন হচ্ছে ডাটার যুগ। ভয়েজ সার্ভিসের তুলনায় ডাটা সার্ভিসের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিলো ২৭ হাজার টাকা তা ২৮৫ টাকায় আমরা কমিয়ে এনেছি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা টেলকো খাতের বিভিন্ন দিকে নিয়ে আলোকপাত করেন।