সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষতিকর আধেয় থেকে কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ রাখতে বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটাকে তাগাদা দিয়ে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মেটা জানিয়েছিল, তাদের প্ল্যাটফর্মে কিশোর-কিশোরীদের সামনে আধেয় প্রদর্শন সীমাবদ্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এরপর কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ রাখতে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে নতুন নিরাপত্তা সুবিধা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মেটা।
ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারে ছবি বা ভিডিওর পাশাপাশি সরাসরি বার্তা আদান-প্রদান করেন অনেকে। কিন্তু এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বন্ধুতালিকায় থাকা ব্যক্তিদের পাশাপাশি অপরিচিত ব্যক্তিরাও অনাকাঙ্ক্ষিত ও অবাঞ্ছিত বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। মেটা জানিয়েছে, নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে অপরিচিত কোনো ব্যক্তি চাইলেও ইনস্টাগ্রামে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারবেন না। অর্থাৎ ইনস্টাগ্রামে শুধু অনুসরণ করা অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো বার্তা কিশোর-কিশোরীরা দেখতে পারবে। এ ছাড়া অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়া কিশোর-কিশোরীরা চাইলেও নিজেদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না। একইভাবে মেসেঞ্জারে বন্ধু তালিকায় না থাকলে কোনো ব্যক্তি বার্তা পাঠালেও সেগুলো কিশোর-কিশোরীদের কাছে প্রদর্শন করা হবে না।
সম্প্রতি ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। নতুন এ নীতিমালা অনুয়ায়ী, কিশোর-কিশোরীদের অনুপযোগী আধেয় (কনটেন্ট) ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখানো হবে না। এর ফলে অনুসরণ করা অ্যাকাউন্ট থেকে অনুপযোগী পোস্ট করা হলেও সেগুলো দেখতে পারবে না কিশোর-কিশোরীরা।