মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ৪ মাস ২২ দিন বন্ধ থাকার পর আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে রেলের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভিন্ন গন্তব্যে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ ছাড়া চলতি মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমেই সব ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।
আজ থেকে যে ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এ ছাড়া এক জোড়া কমিউটার ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে চলছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচদিন পূর্বে আন্তনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সম্পন্ন বন্ধ থাকবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ২ মাস পর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। এরপর গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। আজ চালু হলো আরও ২৬টি ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানের মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। আজ রেলের বহরে যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩০ জোড়ায়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন