পদ্মা সেতুর এক টোলপ্লাজা থেকে অন্য টোলপ্লাজার দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। আমাদের টহলরত লোকজনও হাঁপিয়ে উঠছে। মানুষ লোহার বেড়া ও মাটির নিচ দিয়ে সিঁধ কেটে অবৈধভাবে সেতুর উপরে উঠে হাঁটছে। সেতুর উপরে হাঁটা-চলা করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম রোববার (২৬ জুন) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, আমরা খুবই বিপদে আছি। কয়েকটি বিব্রতকর বিষয় ঘটছে যা কখনো কল্পনাও করিনি।
পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে নিয়ে টিকটক ভিডিও আপলোড করা বায়েজিদ নামের যুবককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সেতুর নাট-বল্টু খোলা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, সেতুর ওপরের অংশে মেটাল ব্যারিয়ারের সব নাট টাইট দেওয়া হয়নি। এটা কিন্তু কোনো ঝুঁকিপূর্ণ না। এটা দিতে হয় তাই দেওয়া। নাটগুলো টাইট দেওয়াসহ কিছু টুকিটাকি কাজ বাকি আছে। কয়েক জায়গায় রং করা বাকি আছে। আরও কিছু কংক্রিটের কাজ বাকি আছে। কিন্তু যাত্রীরা নাটগুলো খুলতে যাবে আমরা কল্পনাও করিনি।
সেতুতে কিছু মানুষের আচরণে বিব্রত দাবি করে শফিকুল ইসলাম বলেন, আর কয়টা দিক ঠেকানো যায়? কিছু বাসচালক কিছু টিকটকারকে তুলছে এবং সেতুর মাঝখানে নামিয়ে দিচ্ছে। এর বিনিময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। মানুষ এমনটা করবে ভাবতেও পারিনি। আর কয়টা দিক সামলানো যায়?
তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেলসহ অনেক যানবাহন কেবল পদ্মা সেতুতে খ্যাপে যাত্রী নিয়ে আসছে। এদের এনেই সেতুর মাঝখানে ছেড়ে দিচ্ছে।