চলাচলের অনূপযোগী হয়ে পড়েছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চেড়াভাঙ্গা থেকে দেওজানা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা ও পানি একাকার হয়ে পড়ে পুরো প্রায় কিলোমিটার রাস্তা।
উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বগা, ফুলবাড়ি, বড়চালা ও দেওজানা চারটি গ্রামের দুই-তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। অথচ রাস্তা মেরামতে এখনও পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বর্ষা মৌসুমে কাদা জমে থাকায় যান চলাচল তো দূরে থাক, নিরাপদে হাঁটতেও পারেন না বাসিন্দারা। এতে চরম দুর্ভোগে অতন্ত ১০ হাজার বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কাজ করেনি ফলে পাকা রাস্তা যেন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় বৃষ্টি হলেই খানা-খন্দক রাস্তায় পানি জমে কাদায় পরিণত হয়। রাস্তায় পা ফেলা দুষ্কর। এই বেহাল রাস্তা দিয়েই কৃষিকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সময় পিচ্ছিল কর্দমাক্ত রাস্তায় পড়ে গিয়ে গড়াগড়ি শিক্ষার্থীদের খেতে হয়।
বগা গ্রামের হামিদ শেখ জানান, ‘শুধু ভোটের সময় নেতাদের দেখা যায়। ভোট শেষ হলেই উধাও হয়ে যান তারা।’
স্কুল শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির সময় স্কুলে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। হাতে জুতা নিয়ে কাদা মাড়িয়ে অনেক কষ্টে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় কাদায় পা পিছলে পড়ে যায় কেউ কেউ। বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় আসতে পারে না। তাই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকে।’
রাস্তাটি পাকা হলে সবারই সুবিধা হবে বলেও দাবি করেছেন মূলবাড়ি দারুস সুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসা সুপার ইব্রাহিম খলিল।’
সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড়ি সব বাস্তার অবস্থাই বেহাল। বৃষ্টি হলে চলাচলের একবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নির্বাচনের আগে ওই রাস্তা পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বার বার কথা হয়েছে।’
ঘাটাইল উপজেলা প্রকৌশলী হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘পাহাড়ি অনেক রাস্তাই পাকাকরণ করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই রাস্তাটি পাকাকরণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’