আসন্ন ঈদুল ফিতরে লঞ্চের টিকিট কাটতে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কপি জমা দিতে হবে।
রবিবার সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঈদ ব্যবস্থাপনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে থেকে আমরা এটা শুরু করবো। ঈদের পরে স্থায়ীভাবে এটা করা হবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ঈদের পর এটা স্থায়ী হবে এবং আমরা কঠোর হবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য না, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য। এর আরেকটি কারণ আছে। ইতোমধ্যে লঞ্চের কেবিনের মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো তদন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপদের মধ্যে পড়ে যায়। কাজেই আমরা নিশ্চিত হতে চাই, কোন যাত্রী কোন লঞ্চে পারাপার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের এনআইডি কার্ড নেই তাদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কোনো লঞ্চের মালিক নির্ধারিত থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবেন না। কম টাকা ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ঈদের ৫ দিন আগে ও ৫ দিন পর পর্যন্ত মালবাহী লঞ্চ চলবে না। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস পর্যায়ক্রমে ছুটি হবে বিজিএমইএ থেকে জানিয়েছে।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতে স্পিড বোট চলবে না। দিনে মালবাহী নৌযান চলবে না। পদ্ধা সেতুর নিচ দিয়ে এখন ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৬টি ফেরি চলছে। ঈদে সবগুলো ২৪ ঘণ্টা চলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, যাত্রীদের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন আমাদের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করেন। অপরিকল্পিতভাবে তারা যাতে ঈদযাত্রা না করে, এটা আমাদের অনুরোধ।
তিনি বলেন, অনেকক্ষেত্রে লঞ্চে কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তুলে ফেলে। এতে ওই লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে।