জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে লঞ্চ মালিকরা দ্বিগুণভাবে প্রস্তাব জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বি আইডব্লিউটিএ) একটি চিঠি দেয়। কিন্তু লঞ্চের ভাড়া দ্বিগুণ হচ্ছে না এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল। তবে লঞ্চের ভাড়া কত হচ্ছে তা জানিয়ে আগামী বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা রয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর লঞ্চের ভাড়া পুনর্নিধারণে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটি ভাড়া পুনর্নিধারণ করে জমা দিলে বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আজ সোমবার লঞ্চ মালিকদের নিয়ে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান নৌ পরিবহন সচিব।
বৈঠক শেষে নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল বলেন , কমিটি আজকের মধ্যেই ভাড়ার হার ঠিক করবে। এরপর ১০ আগস্ট এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে ভাড়া পুনর্নিধারণে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফেরদৌস আলমকে। সদস্যসচিব করা হয়েছে বি আইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলামকে। কমিটির অন্য সদস্যের মধ্যে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বি আইডব্লিউটিএর প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর লঞ্চমালিকেরা লঞ্চভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেন। লঞ্চভাড়া প্রথম ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬০ পয়সা করার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া ১০০ কিলোমিটার পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকার জায়গায় ৪ টাকার প্রস্তাব করেন।
এ বিষয়ে নৌ পরিবহনসচিব মোস্তফা কামাল বলেন, যাত্রীর লঞ্চভাড়া দ্বিগুণ করার যে প্রস্তাব মালিক সমিতি দিয়েছে তা অযৌক্তিক। ভাড়া এত বাড়ানো হবে না; আরো কম হবে। ভাড়া পুনর্নিধারণের আগপর্যন্ত বর্তমান ভাড়া কার্যকর থাকবে।