ভিআইপিদের সিরিয়ালে শিমুলিয়া ঘাটে আটকে থাকা শত শত যানবাহন দু’দিনেও পার হতে পারেনি। এর সঙ্গে গতকাল শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে নতুন করে আসা যানবাহনে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। চিকিৎসাসহ নানা কাজে ঢাকায় আসা ও তিন দিনের ছুটিতে বাড়ি ফেরা দক্ষিণ বঙ্গের যাত্রীদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে।
এদিকে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যশোরে বিয়ে করতে যাওয়া এক যুবক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছি। আমার বিয়ের মেহেদি শুকিয়ে যাচ্ছে, এখন কী করব। ৪ থেকে ৫টা গাড়ি নিয়ে বরযাত্রী যাবো কিভাবে। কনে পক্ষের লোকজন বারবার ফোন দিচ্ছে কিন্তু আমরা কিছু বলতে পারছি না কখন পৌঁছাতে পারব। যানজটে তো আটকে গেছি। জানি না আমার কপালে কী আছে, বিয়ে করতে পারব কিনা। নিজের বিয়ে নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি ম্যনেজার (বাণিজ্য) মোঃ জামান জানিয়েছেন, নানা ভিআইপিদের পার করতেই ফেরি ধরে রাখতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যনেজার জানিয়েছেন, যারা ভিআইপি পরিচয় দিচ্ছে তাদের একটু সুযোগ দিচ্ছি। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সম্মানি ব্যক্তি, ভিআইপির আত্মীয় ভিআইপিদের পার করতে হয়। তারা কিছুটা দূরে থাকলে কিছুটা সময় পর্যন্ত ঘাটে ফেরি ধরে রাখতে হয়। যেন তারা এসে সহজে ফেরিতে উঠে পড়তে পারেন। কি করমু ভাই তাদের কিছু বললেতো আবার অনেক কথা আমাদের শুনতে হয়।
ভিআইপিদের কারণেই সাধারণের পারাপারে দেরি হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘাটের কি খবর রাখেন ১৭ ও ১৮ মার্চ দু’দিনে সাধারণ যানবাহন পরাপারে নিষেধ রয়েছে। আর এ দু’দিন কোনো কোনো ভিআইপিদের ঘাট দিয়ে পার হয়েছে আগে এর খবর নেন।
এদিকে, নির্দেশনার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি(এজিএম) সফিকুল ইসলাম জানান, আজকে(১৮ মার্চ) নয় এ নির্দেশনা ছিল গত ১৬ ও ১৭ মার্চ দুই দিন। ফলে এ দু’দিন সাধারণ যানবাহনকে পুলিশ ঘাট থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এর পরেও ঘাটে আসে।
এ ঘাট দিয়ে বর্তমানে সীমিত আকারে ৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে পারাপারে আটকে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন।