সড়ক বিভাগের ফরিদপুর-নগরকান্দা সড়কের নগরকান্দা উপজেলার শশাসংলগ্ন সড়কে বালুভর্তি কিছু জিওব্যাগ ফেলে দায়সারা সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে।
এতে সংস্কারের নামে সরকারের অর্থ অপচয় হলেও, কোনো কাজেই আসছে না এই দায়সারা সংস্কার। এরই মধ্যে সাত মাস পার হয়ে গেলেও, ধসে যাওয়া সড়কের স্থায়ী সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং রোগী বহনকারী গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
যোগাযোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলাসহ দক্ষিণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। ফরিদপুর-নগরকান্দা সড়কের শশা ব্রিজসংলগ্ন সড়কের পাশে প্যালাসাইডিং না থাকায় এবং দীর্ঘদিন ধরে একটানা প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে অতিসহজেই সড়কের কিছু অংশ ধসে গেছে। সড়ক বিভাগের ফরিদপুর-নগরকান্দা সড়কের দৈর্ঘ্য ২৮ কিলোমিটার।
সড়কটি ফরিদপুর সদর থেকে নগরকান্দা উপজেলা সদরে এসে চলে গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাইলার মোড় পর্যন্ত।
এ ছাড়া নগরকান্দা সদর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জয়বাংলা মোড় হয়ে ঢাকা ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরসহ দক্ষিণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের নির্মাণকাজ যথাযথভাবে না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সড়ক ধসে যাচ্ছে। ধসে যাওয়া বেহাল সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের ধসে যাওয়া অংশ দায়সারা সংস্কার করা হয়েছে, যা কোনো উপকারেই আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও, এসব সমস্যা দেখার বা সমাধান করার জন্য কেউ নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। ধসে যাওয়া সড়ক এখনই মেরামত করা না হলে যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বলেন, সড়কের ধস থামাতে তাৎক্ষণিক সেখানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছিল। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে সড়কের ধসে যাওয়া স্থানে, স্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।