শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে প্রচুর স্রোত আর নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচলে অচলবস্থা বিরাজ করছে। রো রো ফেরি চলাচলের জন্য ন্যূনতম সাড়ে ৭ ফিট পানির গভীরতা দরকার হলেও নৌ চ্যানেলে পানি রয়েছে ৬ ফিটের নিচে। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রো রো ফেরি চলাচল। মাত্র ৩ থেকে ৪টি ফেরি দিনের বেলায় চলাচল করছে। আর রাতে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস। এতে ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। যানজটে আটকে পড়া যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন উভয় ঘাটে।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরিগুলো লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেল দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। এ চ্যানেলে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিতে নেমে এসেছে। অথচ রো রো ফেরি চলাচলের জন্য সাড়ে ৭ ফিট পানির গভীরতা প্রয়োজন। তাই রবিবার হতেই এ নৌ-রুটে রো রো ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেরিগুলো এখন পদ্মা সেতুর বিশেষ চ্যানেল দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু এ চ্যানেলটি সরু হওয়ায় বিপরীতমুখী দুটি ফেরি একসাথে চলাচল করতে পারে না। তা ছাড়া চ্যানেলের মাথায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ছোট ও মধ্যম আকৃতির ফেরিগুলো স্রোতের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। তাই সীমিত করা হয়েছে ফেরি চলাচল। মাত্র ৩ থেকে ৪টি ফেরি দিনের বেলায় চলাচল করছে। আর কোনো প্রকার দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল।
তিনি যোগ করেন, এতে প্রতিদিনই ঘাটে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে যানবাহনের সারি। ৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শিমুলিয়া ঘাটে। যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তবে যাত্রীদের মধ্যে ধৈর্য না থাকায় এ দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। কার আগে কে যাবে এ রকম প্রতিযোগিতার কারণে ঘাটে দেখা দিচ্ছে বিশৃঙ্খলা। ফলে ফেরি লোডিং-আনলোডিংয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। খুব শিগগিরই বিকল্প চ্যানেল না পাওয়া গেলে এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হবার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিআইডাব্লিউটিএ একটি নতুন চ্যানেল আবিষ্কার করেছে কিন্তু এ চ্যানেলে ফেরি চলাচল করতে হলে ৭ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে ২৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হবে। যা কি-না অসম্ভব ব্যাপার।
বিআইডাব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) এনামুল হক জানিয়েছেন, চ্যানেলে নাব্যতা সংকট রয়েছে। সেখানে ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন