শাহজাহান ফকিরঃ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অর্থাৎ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরশনের সরকারি বাস (বিআরটিসি) নামে পরিচিত। যা জনসাধারনের পরিসেবার জন্যই সরকার এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের জনগণ উক্ত পরিসেবাকে সাধুবাদ জানিয়ে সরকারের এই বিশেষ সুবিধা গ্রহন করছে। সর্বস্তরের জনগণ অতি অল্প টাকায় কম সময়ের মধ্যে উক্ত পরিসেবা গ্রহন করে বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে পৌছে থাকে।
উক্ত পরিসেবাটি প্রথমে দাড়াতে না পারলেও বিআরটিসি সেবার মান উন্নয়নে যাত্রীসাধারনগণ নিরাপদ গন্তব্য স্থানে পৌছতে প্রতিনিয়তই বিআরটিসি বাসে চলাচল করছে। এতে করে মান্দাতা আমলের ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে চালিত এমকে সুপার ও শ্যামল ছায়া সহ বিভিন্ন পরিসেবার বাস পড়েছে বিপাকে। তবে পূর্বে থেকে লক্কর-ঝক্কর গাড়ী এমকে সুপার সহ অন্যান্য বাসের পরিসেবা জনগণের ভালো না লাগার মধ্যেই সেমস্ত যানবাহনের সেবা বাধ্য হয়ে গ্রহন করতে হয়েছে। পাশাপাশি বাসের ভাড়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতেও পড়েছে জনগণ। বাসে জনাকীর্ণ পরিবেশে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও চড়া মূল্যে ভাড়া গুনতে হয়েছে যাত্রীসাধারনকে।
অবশেষে নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমন্বয়ে নান্দাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটিসি বাস চালু করণ করা হয়। এতে সহজেই যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারে। বিআরটিসি’র এই সুন্দর পরিসেবাটিকে বন্ধ করার পায়তারা চালাচ্ছে অপরাপর বাসের মালিকগণ। তারা গত ১২ই ডিসেম্বর/২০২১ইং রোববার বিআরটিসি বাস বন্ধে ধর্মঘট করে। এছাড়া ধর্মঘটের সুযোগে নিজেদের লক্কর-ঝক্কর গাড়ীগুলোকে নতুন রূপ দিয়ে যাত্রীসাধারনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু এই ধর্মঘটের বিষয়টি তথা বিআরটিসি বাস বন্ধের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় তথা নান্দাইল হেল্প লাইন ফেসবুক গ্রুপ সহ বিভিন্ন সহস্রাধি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডিতে সুশীল সমাজ ও যাত্রীসাধারন তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও বিআরটিসি বাস বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবী না করে আপনারা আপনাদের বাসের সেবার মান বাড়িয়ে দেন, যাতে করে জনগণ সরকারি পরিসেবা থেকেও আপনাদের সেবার মান ভালো ও নিরাপদে গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারে। এতে করে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবীতে ধর্মঘটের কোন প্রশ্নই আসেনা।
এ বিষয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, সরকারি বাসের পরিসেবা গ্রহন করার অধিকার জনসাধারনের। বিআরটিসি বাস বন্ধ হলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ুক তা জনসাধারন তথা যাত্রীসাধারন আর চায় না। আমরা সরকারি বাস বন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ দিকে কোন কারনে বিআরটিসি বাস বন্ধ হলে, তারাও সরকারি পরিসেবা পাওয়ার অধিকার নিয়ে রাজপথে মানববন্ধন সহ ধর্মঘটের ডাক দিতে পারে বলেছেন যাত্রীসাধারন।