টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈরান নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের ৩ বছরের মধ্যেই ভেঙে গেছে। এতে ২০ গ্রামের মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ও নির্মাণ শেষে ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধ ড্রেজিংয়ের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
ধনবাড়ী এলজিইডি সূত্র জানায়, উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের বৈরান নদীর উপর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এডিবির অর্থায়নে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। উপজেলা এলজিইডির দাবি অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণেই অল্প দিনেই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত সপ্তাহে ব্রিজের পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে দেবে যায়। গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ব্রিজটি নদীতে ভেঙে পড়ে। এতে যাতায়াত বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে নানা ধরনের কার্যক্রম। এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বিক্রির জন্য উপজেলা সদরে আসতে পাঁচগুণ ভাড়া দিচ্ছেন।
কৃষক রফিকুল ইসলাম, ফজলু হক ও তুলা মিয়া জানান, প্রভাবশালী এক ঠিকাদার ব্রিজটি নির্মাণ করে। প্রথম দিকে অনিয়মের কারণে এলকাবাসী বাঁধা দিয়েছিল। যদিও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ আর পড়ে মুখ খোলেনি। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরও নেয় তারা। নিমার্ণের পরপরই ব্রিজের রেলিং এবং পাটাতন ভাঙতে শুরু করে। এ ছাড়াও নদী খননের নামে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন তো আছেই। ফলে এ বছর নদীতে বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিজটি দেবে যায়।
পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষতি আসনের মহিলা সদস্য ফজিলা বেগম জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেতু নির্মাণের জন্য এ ব্যাপারে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।
ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন জানান, অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু তোলায় পিলার আলগা হয়ে সেতু দেবে ভেঙে গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।