এস এম আজাদ হোসেন : আজ রোববার (২০ নভেম্বর) বিশ্ব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহদের স্বরণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পক্ষাঘাত হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) মিলনায়তনে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রোড সেইফটি কোয়ালিশন, বাংলাদেশ।
বিশ্ব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত স্মরণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারা সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্যে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
নিটোর পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবিদুল গণির সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফটোগ্রাফিক ডিরেক্টর মিশুক মুনিরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ও নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), জিএইচএআই কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ডক্টর শরীফুল আলম, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম, কোয়ালিশন সদস্য নিরাপদ সড়ক চাই এর মহাসচিব লিটন এরশাদ, ব্রাক রোড সেফটি ডিরেক্টর খালিদ মাহমুদ এবং সড়ক দুর্ঘটনার শিকার সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নিহত বাস ড্রাইভারের স্ত্রী শিউলি আক্তার প্রমুখ।অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন নিসচা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক,সাংবাদিক এস এম আজাদ হোসেন।
সভায় আলোচকরা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বে সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর অষ্টম কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।পঙ্গুত্ব বরণ করে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এ অবস্থায় সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন দরকার।
তারা আরো বলেন, দেশের সড়ক যোগাযোগকে নিরাপদ করতে জাতিসংঘ প্রণীত গাইডলাইন অনুসারে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিরাপদ যানবাহন নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী ও সড়কে দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ ও চালকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।আলোচনায় উঠে আসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে প্রতিবছর জিডিপির সাড়ে ৬ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে।
আলোচনাসভার আগে সড়ক দুর্ঘটনার সচেতনা বিষয়ে একটি শোভাযাত্রা জাতীয় পক্ষাঘাত হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে শ্যামলী শিশুমেলা সড়ক প্রদক্ষিণ করে।