বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া ভাষণে, বক্তব্যে- জনস্বার্থে, জনগণের জন্য, জনগণের মঙ্গলের জন্য, জনবান্ধব- এমন শব্দগুলো অহরহ শোনা যায়। কার্যত এই শব্দগুলোর বাস্তবিক চর্চা এসব কর্মসূচির মাধ্যমে কতটা প্রতিফলিত হয় তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে এর অনেক ক্ষেত্রেই যে জনদুর্ভোগের নজির সৃষ্টি হয় তা বর্ণনাতীত। বিশেষ করে রাজপথে যে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো পালিত হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে জনস্বার্থের কথা যে বিবেচনায় রাখা হয় না তা বেশ জোর দিয়েই দাবি করা যায়।
রাজধানীর মানুষ তাঁদের প্রতিদিনের জীবনে সবচেয়ে কঠিন দুর্ভোগ সহ্য করেন যানজটে। ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে এই ভোগান্তির কারণে বেশ বেগ পেতে হয় রাজধানীবাসীকে। হালে নানা কারণে এই সমস্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজপথের কর্মসূচিতে এই ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। এতে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ।
রাজধানীর শাহজাহানপুর মোড়ে জেব্রা ক্রসিং বন্ধ করে রাজনৈতিক নেতাদের গেইট দেখা মিললো আজ। যেখানে জনসাধারন জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এতে করে যে কোন মুহুর্তে সেখানে ঘটতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর দায় কে নেবে?
সেখানে কর্মরত এক ট্রাফিক পুলিশ কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যাবার চেষ্টা করেন এবং পরিশেষে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ও নেতাদের জিজ্ঞেস করুন এই বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে পারবেন না।’
ঐ পথ দিয়ে আসা এক পথচারী নিসচার সদস্য মহসিন জানান, টিউশন শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম, শাহজাহানপুর মোড়ে এখানে দেখি জেব্রা ক্রসিং বন্ধ করে নেতাদের গেইট করা। চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে এমন গেইট কতটা যুক্তিসংঘত তিনি প্রশ্ন রাখেন রাজনৈতিক দলের কাছে। তিনি আরো বলেন, সড়ক কারো নিজস্ব সম্পওি নয়, এইসব নেতাদের মন মানুসিকতার পরিবর্তন হওয়া দরকার। নেতারা যদি এমন হয় এই নেতাদের দ্বারা কি পরিবর্তন হবে দেশের? তাদের কারণে সড়কে শৃঙ্খলা আসে না। পৃথিবীর আর কোন দেশের নেতারা এইরকম করে কিনা আমার জানা নেই।
নিরাপদে সড়ক পারাপারের মাধ্যম এই জেব্রাক্রসিং বন্ধ হওয়ায় সেখানে চলাচলরত অনেক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।