মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সরকারি ছুটিতে বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজ। এরপরও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে রাজধানীর ধানমন্ডি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হচ্ছে মিরপুর সড়কের কয়েকটি সিগন্যালে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টেকনিক্যাল থেকেই যানবাহনের চাপ আর সেটি মাত্রাতিরিক্ততায় রূপ নেয় সোহরাওয়ার্দী কলেজের সিগন্যালের পর থেকেই। মিরপুর সড়কের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ২টি সিগন্যাল থেকে শুরু করে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত উভয় সড়কেই দীর্ঘ গাড়ির সারি।
যানজটে আটকে আছে মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অসংখ্য গণপরিবহন। বিশেষ করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে শাহবাগ অভিমুখে প্রবেশের জন্য এবং শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মিরপুর সড়কে প্রবেশ করতে অপেক্ষা করছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এছাড়া রামপুরা, বাড্ডা এবং বিমানবন্দর সড়কে গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার এই এলাকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে। ফলে নিউমার্কেটে সকাল থেকেই কেনাকাটা করতে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়।
এই ভিড় মার্কেট থেকে ফুটপাত হয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর কারণেই তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
বাসচালক ও তাদের সহকারীরা জানান, অন্যান্য এলাকার সড়ক ফাঁকা থাকলেও এই এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় যানজটে নাকাল হতে হয়েছে।
অপরদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হালদার অর্পিত ঠাকুর।
তিনি আরও জানান, কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের বাড়তি চাপের কারণে কিছুটা যানজট তৈরি হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সড়কে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও একেবারেই থেমে নেই। মানুষের ভোগান্তি নিরসন করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।