গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দস্যু নারায়নপুর এলাকায় কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কসহ কমপক্ষে আড়াই হাজার বর্গফুট ভূমি শীতলক্ষ্মা নদীতে (বানার নদী) ২০ ফুট দেবে গেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টায় এ ঘটনার পর থেকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. ইসমত আরা জানান, এ নিয়ে ওই একই এলাকায় চারবার ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, ঘটনার কথা শোনার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক রতন দাস জানান, বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় বিকট শব্দ হয়। এসময় ঘরের ভিত কেঁপে উঠে। পরে বাইরে বেরিয়ে দেখি বসত ঘরের কাছ থেকে কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কসহ বিস্তৃত এলাকা কমপক্ষে ১৫ ফুট দেবে গেছে। প্রতিবেশীরাও ঘুম থেকে উঠে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। ভূমিধসের ঘটনায় আশপাশের সন্তোষ মাস্টার, ননী গোপাল, সাধন মাস্টার, শুশিল চন্দ্র, নিতাই চন্দ্রসহ কমপক্ষে ১২টি পরিবার বসতবাড়ি ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস জানান, ভূমিধসে তাদের জমির মৌসুমী সবজির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের মতো অনেকেরই কলা বাগান ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো: আমানত হোসেন খান, কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: সাখাওয়াত হোসেন প্রধান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফ উদ্দিন জানান, গত বছর ওই সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কারের পর ৬ মাস পর্যবেক্ষণও করা হয়েছে। এতে কোনো প্রকার ঝুুঁকির আশঙ্কা পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু কেন এমনটি হল তা বোঝা যাচ্ছে না। এর আগেও ১৯৬৪, ২০০৩ ও ২০১৮ সালে একই জায়গায় অনুরূপ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের বর্ণনা বিশেষজ্ঞদের কাছে সচিত্র পাঠানো হয়েছে। মাটি পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। তিনি আরো জানান, সড়ক মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় শনিবারের মধ্যে রাস্তায় মানুষ চলাচল করতে পারবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন