English

19 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

কলাপাড়ায় ভাসমান সেতুতে পারাপার হচ্ছে ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ: চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

- Advertisements -

কলাপাড়ায় ভাসমান সেতুতে পারাপার হচ্ছে ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী । একটি খালের উপর স্থানীয়রা তৈরী করেছেন ভাসমান সেতু। পানির উপরে দেয়া হয়েছে প্লাষ্টিকের ড্রাম। তার উপরে কাঠের পাটাতন। দীর্ঘদিন পারাপারে বর্তমানে এ সেতুটি অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে।

কোন উপায়ন্তর না পেয়ে এ সেতু দিয়ে পরাপার হচ্ছে কৃষি পল্লী খ্যাত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। এতে প্রায়শই ঘটছে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে ঘুওে দেখা যায়, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা ও কুমিরমারা এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে পাখিমারা খাল। প্রায় ৫ বছর আগে এ খালের উপর পুরাতন সেতুর মালামাল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয় নতুন সেতু। ২০২০ সালের ৬ আগষ্ট রাতে হঠাৎ সেতুটি খালের মধ্যে ভেঙে পরে। পরে ওই বছরের অক্টোবর মাসে স্থানীয়রা চাদাঁ তুলে ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মান করেন ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে ভাসমান সেতু। সেতুটি এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে মালামাল বহন তো দুরের কথা দুইজন মানুষ একসঙ্গে হেটে যাওয়া দায়।

বর্তমানে এ ভাসমান সেতুটিও নড়বড়ে হয়ে গেছে। অনেক স্থানে কাঠ ভেঙে গেছে, বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ড্রাম ফুটো হয়ে পানি প্রবেশ করছে। বেশিরভাগ স্থানই দেবে গেছে। ফলে এ সেতু পারাপার হতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা। গর্ভবতী মহিলাদের আনা-নেয়ার জন্য একমাত্র বাহন হয়ে দাড়িয়েছে নৌকা।

এছাড়া কৃষি পল্লী খ্যাত ওই ৫ গ্রামের কৃষি পন্য বহন করতে হচ্ছে মাথায় করে। তাই এ ভোগান্তির অবসানের জন্য একটি নতুন সেতু নির্মানের দাবি স্থানীয় কৃষকসহ ওই এলাকার সাধারন মানুষের।

কুমিরমারা গ্রামের কৃষক বেলায়েত হেসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা প্রচুর পরিমানে ধান ও সবজি আবাদ করে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এই সেতুর অভাবে এসব মালামাল পরিবহন করতে হয় মাথায় করে।

যেটা অনেক কষ্টকর কাজ। আরেক কৃষক জালাল খাঁ বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমাদের সবজি খাতে বছরে প্রচুর টাকা লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না। যা ভোগান্তির চরম পর্যায় পৌছে গেছে।

কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহর আলী গনমাধ্যমকে জানান, মূল সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরই উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে অবহিত করা হয় এবং তাদের নির্দেশে নতুন গার্ডার বিজ্র নির্মানের লক্ষে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিনেও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় বর্তমানে আবার নতুন করে সাপোর্টিং বিজ্র প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবনা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন