ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। আগামী ৩০ এপ্রিলের টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন দেখা যায়, সবাই যাতে সিরিয়াল মেইনটেইন করতে পারে, সেজন্য টিকিটপ্রত্যাশীরাই লাইনে সিরিয়াল লিখে রাখছেন। লাইন ভেঙে কেউ দাঁড়াতে চাইলেই পেছন থেকে অন্য টিকিটপ্রত্যাশীরা চিৎকার দিয়ে উঠছেন। এতে কেউ লাইনের আগে যেতে সাহস করছেন না।
এ ছাড়া লাইন ঠিক রাখতে একটু পরপর বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বা আরএনবি। কালো বাজারে যাতে কোনো টিকিট বিক্রি না হয় এ জন্য স্টেশন এলাকায় রয়েছে র্যাব, পুলিশ, ডিএমপি পুলিশসহ আনসার সদস্যরা। র্যাব-পুলিশের বুথও রয়েছে স্টেশনে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমরান ভোরে কমলাপুরে এসে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ভোরে এসেও লাইনে দাঁড়িয়েছি একেবারে স্টেশনের নিচে অনেক দূরে। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত একটু একটু করে অর্ধেকের মতো এসেছি। জানি না শেষ পর্যন্ত যেতে যেতে টিকিট পাবো কি-না।
টিকিটপ্রত্যাশী আবদুল হাই বলেন, সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৪টার পর পরই স্টেশনে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশ টিকিটপ্রত্যাশী। তারপরও মনে হয়েছিল টিকিট পাব, কিন্তু পায়নি। সোমবার দুপুর থেকে আবারও লাইনে দাঁড়িয়েছি। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) কাউন্টারের সামনের সারিতে আছি। আশা করছি আজ টিকিট মিস হবে না। আমার মতো হাজারো টিকিটপ্রত্যাশী অপেক্ষা করছেন।
এবারের ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ মে থেকে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হয় ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হচ্ছে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।