ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও তেমন ভিড় নেই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। নেই শিডিউল বিপর্যয়। সব ট্রেনই ছেড়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ে। স্টেশন ছেড়ে যাওয়া এসব ট্রেনের অধিকাংশ আসনই থাকছে ফাঁকা। কমলাপুর রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমলাপুর থেকে ট্রেন ফাঁকা ছাড়লেও প্রতি আসনে যাত্রী রয়েছে। এসব যাত্রীদের অনেকে বিমানবন্দর অনেকে উঠবেন জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। বুধবার (৬ জুলাই) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
এদিন সকাল থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, তিস্তা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, কর্ণফুলী কমিউটার কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে সব ট্রেনেই বেশিরভাগ আসন ফাঁকা দেখা গেছে। আসন ফাঁকা নিয়েই ট্রেনগুলো কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
কমলাপুর রেলওয়ে ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবার ঈদে কোনো আসনই ফাঁকা যাচ্ছে না। যাত্রীদের অনেকে স্বশরীরে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন, অনেকে অনলাইন মাধ্যমে টিকিট নিয়েছেন। সবাই তো ঢাকার এক এলাকায় থাকেন না। ফলে অনেক যাত্রীই বিমানবন্দর বা জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠবেন। এজন্যই কমলাপুর থেকে ছাড়ার সময় ট্রেনের অনেক আসন ফাঁকা থাকছে। দু-এক স্টেশন পরই সব আসন পূর্ণ হয়ে যাবে।
এদিকে সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় যাত্রীরা বেশ খুশি। কথা হয় আব্দুস সালাম নামের পাবনার ঈশ্বরদীগামী এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর আমি ট্রেনের দুটি টিকিট পেয়েছি। এখন ট্রেনে উঠেছি, নিজ আসনে বসেছি। সময় মতো ট্রেন ছাড়ায় টিকিট কাটার কষ্ট ভুলে গেছি। এখন ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায় ভালোভাবে আসতে পারলেই হলো।
নাদিয়া নামের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের খুলনার এক যাত্রী বলেন, এবার নারী কাউন্টার কম থাকায় টিকিট সংগ্রহে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ছে, এটাই প্রশান্তি।
জেসমিন আক্তার নামের মহুয়া কমিউটারের যাত্রী বলেন, কমিউটার ট্রেন কখনো শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েনি। আমরা দিনের টিকিট দিনেই পাই, আমাদের যাত্রাও মধুর হয়। এটা ঈদের আগে ভালো লাগার দিক।
গত শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে ঈদুল আজহার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ১ জুলাই দেওয়া হয় ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাই দেওয়া হয় ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ট্রেনে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে। প্রথম দিন ১১ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। এছাড়া ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত পরিসরে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। ১২ জুলাই থেকে চলাচল করবে সব ট্রেন।