আম পরিবহনের জন্য চালু হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে উদ্বোধন করেছেন এই ‘ম্যাঙ্গো ট্রেন।
এর মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) থেকে রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত আবার ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে রহনপুর পর্যন্ত দুই ট্রিপে একটি ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে।
রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে ঢাকা এলেও ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থামবে না। মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিদিন দুপুর ২টায় রহনপুর থেকে ছেড়ে রাত ১টায় আমবাহী ট্রেনটি ঢাকা পৌঁছবে। আবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে রহনপুরে যাবে সকাল ১১টায়।
রহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও আমনুরা থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আম পরিবহনের ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আমে ভাড়া দিতে হবে এক টাকা ১৭ পয়সা। এই ট্রেনে মোট পাঁচটি বগি থাকে। প্রতিটি বগির ৪৩ টন ধারণক্ষমতা রয়েছে। তবে আম ভালো থাকার দিক বিবেচনা করে ১৫০ টনের মতো আম পরিবহন করা হবে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেল শুধু ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে না। আমরা মানুষকে সেবাটাই দিতে চাই। বাসে আম আনতে হলে প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা পর্যন্ত দিতে হতো। অথচ আমরা এই সেবা চালু করার পর থেকে তারা ১৩ টাকায় নেমে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই বিশেষ ট্রেনে আমরা আমকে গুরুত্ব দেব। তবে ট্রেনে যদি জায়গা থাকে, তাহলে অন্য কৃষিপণ্য আনার সুযোগ থাকবে। চাহিদা বাড়লে ট্রেন বাড়ানো যেতে পারে।’
জানা গেছে, কাঁচা বা আধাপাকা আম যেন গরম ও অতিরিক্ত চাপে নষ্ট না হয়ে যায় সে কারণে ধারণক্ষমতার কিছু কম পণ্য বহন করা হবে। রেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোতে তরতাজা সতেজ আম পৌঁছানো সম্ভব হবে। সড়কপথের মতো যানজট ও উঁচুনিচু জায়গা না থাকায় আমেরও কোনো প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার ক্যারেটপ্রতি শ্রমিক মজুরি ধরা হয়েছে ১০ টাকা। এটি নির্ধারিত। কোনো শ্রমিক বেশি নিলে বা কেউ অভিযোগ করলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।