ঈদের ছুটি শেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। নির্দেশনা অমান্য করে এই মহাসড়ক দিয়ে চলছে দূরপাল্লার বাস। যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলা, ঘারিন্দা, আশেকপুর, করটিয়া, দেলদুয়ার উপজেলার বাঐখোলা, নাটিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আড়াইগুণ বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় করা হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪০ টাকা।
ঢাকাগামী যাত্রী আশরাফ আলী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ছিল। ঈদ কেন্দ্রে করে বাস কর্তৃপক্ষ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া নিত।
অথচ এ বছর ৪৫০ টাকা দিয়ে আমাকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। তেমনি ভাড়ার ওপর যদি একটু নজর দিত তা হলে আমাদের যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হতো।
হাইসচালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রোববার আমি পৌনে দুই ঘণ্টায় ঢাকার মহাখালী গেছি; আজকে দেড় ঘণ্টায় টাঙ্গাইল এলাম। অন্যান্য সময় আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগত। ঈদের ছুটি শেষে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট বা ধীরগতি না থাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও কম সময়ে গন্তব্যে ফেরা যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জগামী বাসচালক ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গণপরিবহনের যাত্রীরা ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে ফিরছেন।
সেখানে কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে, মিডিয়ার সুবাদে দেশবাসী তা জানতে পেরেছে। মাঝখান থেকে দূরপাল্লার বাসচালকদের আয় বন্ধ থাকায় কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। টাকার অভাবে নির্দেশনা অমান্য হলেও গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, ঈদ শেষ করে মানুষ কর্মস্থলে ফিরলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস দেখা গেলে তাদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দূরপাল্লার বাসকে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।