আগামী জানুয়ারি থেকেই পদ্মা সেতুতে চলবে না ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন। ইতিমধ্যে সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে শেষ হয়েছে ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত ওজন মাপার ওয়েস্কেল বসানোর কাজ। তিন লেনের ওয়েস্কেলের নির্মাণ কাজ শেষে চলছে পরীক্ষামূলক পরিমাপ। ডিজিটালের এ পদ্ধতিতে দাঁড়াতে হবে না কোনো গাড়িকে।
চলতি পথেই হবে ওজন পরিমাপ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে গিয়ে দেখা যায়, ওয়েস্কেলের কার্যক্ষমতা বিদেশি প্রকৌশলীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। শ্রমিকরা ওয়েস্কেলের লেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ও নির্ধারিত লেন তৈরির মার্কিং করছেন। পরীক্ষার জন্য একটি বালু ভর্তি ট্রাক বারবার ওয়েস্কেল অতিক্রম করছে এবং পুনরায় ফিরে আসছে। যানবাহনের প্রকৃত ওজন প্রদর্শিত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। ওজন বা গতি বেশি হলে বেজে উঠছে সাইরেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্কেল বসিয়েছে। পদ্মা সেতুতে ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ। উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতুতে এতদিন ওজন স্বয়ংক্রিয় পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় সব ধরনের যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।
এরপর থেকে পদ্মা সেতু পার হতে উভয় প্রান্তে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা প্রতিটি পণ্যবাহী যানবাহনকে ওজন পরিমাপ করতে টোল প্লাজার আগে নির্ধারিত তিনটি আলাদা লেনে আসতে হবে ওয়েস্কেলে। ইলেকট্রিক সেন্সর ও সড়কে থাকা ওজন পরিমাপের বিশেষ ডিভাইসের ওপর দিয়ে পার হতে হবে ওয়েস্কেলের বিশেষ লেন।
২৭ টন পর্যন্ত ওজন বহনকারী যানবাহন টোল পরিশোধ করে গ্রিন জোন দিয়ে সরাসরি পার হবে পদ্মা সেতু। আর বেশি ওজন বহনকারী যানবাহন রেড জোন দিয়ে চলে যাবে টোল প্লাজার পাশে নির্মিত স্টকইয়ার্ডে। সেখানে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওজন কমিয়ে পুনরায় ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ শেষে গ্রিন জোন দিয়ে পদ্মা সেতু পার হবে যানবাহনগুলো।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ‘জানুয়ারির শুরু থেকেই ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ শুরুর চিন্তা রয়েছে আমাদের। বেশি ওজনের যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপারের কোনো সুযোগ থাকবে না। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজও শেষের পথে রয়েছে। ’