করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের জারি করা নতুন বিধিনিষেধে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার থেকে ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রেলওয়ে জানিয়েছে, ৫০ শতাংশের অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে এবং অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তাররোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ে নিম্নে বর্ণিত সংশােধনী আনা হলাে।
১. যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করণার্থে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের বিদ্যমান আসনসংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যুকরণ;
২. হ্রাসকৃত আসনসংখ্যার অর্ধেক (অর্থাৎ মােট আসনসংখ্যার ২৫%) টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বাকি অর্ধেক আসনের (অর্থাৎ মােট আসনসংখ্যার ২৫%) টিকিট মােবাইল অ্যাপ/অনলাইনের মাধ্যমে ইস্যু করা;
৩. আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে;
৪. ইতিপূর্বে রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমােদিত ইমার্জন্সি কোটা ও আন্তঃনগর ট্রেন ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাস কোটা ব্যতীত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ে বিদ্যমান সকল প্রকার কোটা ব্যবস্থা রহিত করা;
৫. কাউন্টারে টিকিট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীর মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে;
৬. প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা প্রদান ও ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করতে হবে;
টিকিট ইস্যুর উপরিল্লিখিত সংশােধনীসমূহ আগামী ১৫ জানুয়ারি (যাত্রার তারিখ বিবেচনায়) থেকে কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সময়ে সময়ে জারিকৃত টিকিট ইস্যু এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করার অন্যান্য নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (১০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।