সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের সরাইচন্ডিতে ইছামতি নদীর উপর একটি ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বহুলী ও শিয়ালকোল ইউপির প্রায় ২৫-৩০ গ্রামের মানুষের।
কৃষি পণ্য ধান, পাট ও সবজি পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পারাপারের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। অসুস্থ রোগী নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ও বহুলী ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ইছামতী নদী। জনসাধারণের নদী পারাপারের পয়েন্ট একমাত্র সরাইচন্ডি ঘাট। ঘাটটিতে ব্রিজ না থাকায় দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষকে অর্ধশত বছর যাবত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা বলছে, ব্রিজটির অভাবে ২৫টি গ্রামের কৃষক কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। নদীর পূর্বপাড়ে স্কুল-কলেজ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে কলেজে যেতে না পাড়ায় অকালে শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়ছে। গর্ভবতীসহ মুমূর্ষু রোগীকে সময় মতো হাসপাতালে নিতে পারায় অনেকে মারা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত ২০ বছর যাবৎ নির্বাচনের আগে নেতারা ইছামতি নদীর উপর সরাইচন্ডি ঘাটে ব্রিজ নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। ব্রিজটি নির্মাণ হলে ২৫ গ্রামের মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ কমানোসহ কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, ২৫টি গ্রামে ধান, পাট, শাক-সবজি উৎপাদন হয়। কিন্তু নদী পার হতে না পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। দেখা যায়, ৪০ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে নিয়ে যে দামে বিক্রি করতে হয়, তাতে লোকসান হয়।
ঊহুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ব্রিজটির জন্য মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, সম্প্রতি ব্রিজের ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতই টেন্ডার আহ্বান করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।