পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। রাজধানীর সদরঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। ঈদের আগমুহূর্তের ভিড় আর দুর্ভোগ এড়াতে গত বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের পদচারণে মুখর ঢাকার প্রধান নদীবন্দরটি। লঞ্চের কর্মীরা যেমন নিজ নিজ লঞ্চে যাত্রী ভেড়াতে হাঁকডাক করছেন, তেমনি যাত্রীরাও মালামাল নিয়ে লঞ্চে উঠতে ব্যতিব্যস্ত।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণের ৪১টি পথে চলাচলের জন্য ঘাটে প্রস্তুত ছিল ১২০টি লঞ্চ। যাত্রীতে পূর্ণ হলেই নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ৯৮টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের দিকে রওনা হয়ে যায়। এ সময়ে আরও ১০টি লঞ্চে যাত্রী উঠছিল।
আগামী সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে কর্মজীবী মানুষ। বাসের পাশাপাশি দক্ষিণের পথে লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকাল সকাল থেকেই সদরঘাটে যাত্রীর চাপ ছিল।বিকেলের পর যা উপচে পড়া ভিড়ে পরিণত হয়।
বিকেলে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বড় লঞ্চগুলোর কোনো কেবিন খালি নেই। বেশির ভাগ লঞ্চ যাত্রীঠাসা। লঞ্চের নিচতলায় (ডেকে) পাটি বিছিয়ে যাত্রীরা যার যার মতো বসে পড়েছে। কোনো কোনো লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের বসার জায়গাও নেই।
আবার যাত্রীতে ভরপুর থাকার পরও কোনো কোনো লঞ্চে আরও যাত্রী তোলার তোড়জোড় দেখা যায়। কিছু লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিতেও দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে চাঁদপুরের পথে চলাচলকারী রফরফ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার রাকিব হোসেন জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় ঈদের লঞ্চে যাত্রীর ছবি বদলে দিয়েছে। আগের ঈদগুলোতেও যাত্রীর এত চাপ ছিল না। দুই দিন ধরে যাত্রী অনেক বেড়েছে, কাল আরও বাড়বে। ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ, বিআইডাব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।
বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) মো. আলমগীর কবীর বলেন, ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতির তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ যেন ঘাট ছাড়তে না পারে—সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’