রাজধানীর পোস্তগোলা থেকে সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৬টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন রওশনা বেগম। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলে ‘সোনার হরিণ’ টিকিট পেতে দুই সন্তানকে বাসায় রেখেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ২৬ ঘণ্টা পরও যদিও টিকিট পান তাতেও খুশি হবেন বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি কাউন্টারের লাইনে প্রথমেই রওশনা বেগমকে দেখা যায়।
তিনি বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে বাড়িতে ঈদ করতে পারিনি। এবার করোনা কমে যাওয়ার পাশাপাশি গাড়িও স্বাভাবিকভাবে চলছে। তাই স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি যাবো। কিন্তু টিকিট পাওয়া নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে শুনেছি। লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পায় না। তাই ৩০ এপ্রিল রাজশাহী যাওয়ার অগ্রিম টিকিটের জন্য আজ লাইনে দাঁড়ালাম।
ট্রেনেই কেন যাবেন জানতে চাইলে রওশান বলেন, বাসে ছেলে মেয়েরা যেতে পারে না। বমি করে। তাই
টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এছাড়া ঈদে বাসে গেলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক জ্যাম থাকে। এ সময় বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া অনেক ঝামেলা।
২৬ ঘণ্টা একই জায়গায় কীভাবে কাটবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বসে, দাঁড়িয়েই কাটাতে হবে। তাছাড়া কোনো উপায় নেই। টিকিট পেতে হলে লাইন ছাড়া পাওয়া যাবে না। ২৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেলেও আমি খুশি।
এদিকে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আজও (সোমবার) কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেছেন হাজারো মানুষ। টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন তারা। এরপরও অনেকের মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট। অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) দেওয়া হয় ২৮ এপ্রিলের টিকিট। আজ দেওয়া হচ্ছে ২৯ এপ্রিলের টিকিট। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। আর ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মে’র টিকিট।
এছাড়া ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি হবে ২ মে’র ট্রেনের টিকিট। ঈদ যাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে বিশেষ ট্রেনের টিকিট বিক্রিও শুরু হবে।