করোনার সংক্রমণরোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশে যেদিন থেকে লকডাউন শুরু হবে সেদিন থেকেই অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বেবিচকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহেল কামরুজ্জামান শনিবার রাতে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সরকারের লকডাউন বিধির ওপর ভিত্তি করে বেবিচক থেকে এ-সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হবে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী সোমবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন চলবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একই দিন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে সাতদিনের লকডাউনের আদেশ জারি হতে পারে।
সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার লকডাউনের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এপিডেমিওলজিক্যাল ১২তম সপ্তাহের (২১ থেকে ২৭ মার্চ) সঙ্গে এপিডেমিওলজিক্যাল ১৩ম সপ্তাহের (২৭ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল) তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৭১ দশমিক ১৪ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, শনাক্ত ৬৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেড়েছে।
২১ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২৩ হাজার ২০০ জন, মৃত্যু হয় ২০১ জনের। ১৩ হাজার ২০৪ জন রোগী মহামারি থেকে এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৩৮ হাজার ৪৭১ জন, মারা গেছেন ৩৪৪ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৮৫৩ জন।