English

25 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

রোজার প্রথম দিনে জ্যামেই পার তাঁদের ইফতারের সময়!

- Advertisements -

ওয়ারির রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে এক ঘণ্টা আগে বেরিয়েছি। যাবো বাংলামোটর। গাড়িতে ওঠার পর থেকেই জ্যাম। শাহবাগ এসেছি এক ঘণ্টায়। সামনে যে জ্যাম, বাংলামোটর কখন যাবো কে জানে। বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারবো বলে মনে হয় না।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগে যানজটে পড়া সাজ্জাদ হোসেন এমনটাই বলছিলেন। একটি বেসরকারি কোম্পানির এই কর্মীর গুলিস্তান থেকে বাংলামোটর যাওয়ার অভিজ্ঞতা এটি।

এ সময় একই বাসে পাশ থেকে আরেক যাত্রী বলেন, ‘এতো জ্যাম। গাড়ি নড়ে না। জ্যামের কারণে ইফতার কোথায় করবো চিন্তা করছি।’

রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে শাহবাগসহ আশপাশ এলাকা ঘুরে এমনই তীব্র যানজটের চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ থেকে সাইন্সল্যাবের রাস্তাটিতে তুলনামূলকভাবে জ্যাম কম ছিল। তবে শাহবাগ থেকে ফার্মগেটের রাস্তায় তীব্র জ্যাম। মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগে আসার রাস্তায়ও জ্যাম পাওয়া যায়। এ সময় যাত্রীদের চোখে মুখে ছিল বিরক্তি। ইফতারের আগে জ্যামে পড়ায় ইফতার নিয়ে অনিশ্চতায় পড়েন যাত্রীরা। এ কারণে অনেককে দেখা যায় পানি কিংবা জুস কিনতে। জ্যামে আটকে থাকলেও গলা ভিজিয়ে ইফতার সারতে চান তারা।

মিরপুরগামী এক যাত্রী বলেন, হাতে আধঘণ্টা সময় আছে। যে জ্যাম, মনে হয় না বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারবো।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রফিক জানান, রোগী নিয়ে আসছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখন যাবো বাড্ডা। যাত্রী না নিয়ে বাসায় গিয়ে ইফতার করবো ভেবেছিলাম। এখন যে অবস্থা দেখছি মনে হয় না পৌঁছাতে পারবো। মহাখালী এলাকায় আজ বেশি জ্যাম ছিল। এদিকে এসে দেখি এখানেও জ্যাম।

ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বিকেলে যাত্রী একটু বেশি। সবার তাড়া আছে বাসায় গিয়ে ইফতার করার। তাই জ্যামের মধ্যেও অনেকে উঠছেন।

শিকড় পরিবহনের একটি বাসচালকের সহকারী শাজাহান জানান, রোজার কারণে বাসের ট্রিপ কমেছে। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন রাস্তায় জ্যাম। শাহবাগ থেকে ফার্মগেট যেতে কত সময় লাগে কে জানে। এমন জ্যাম থাকলে আজ আর ট্রিপ দেওয়া যাবে না।

রোজায় ইফতারের আগে অধিকাংশ রাস্তায়ই থাকে জ্যাম। আজ যেন সে পরিস্থিতি ছিল অবর্ণনীয়। এ সময় সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করেন ট্রাফিকের সদস্যরা।

শাহবাগ মোড়ে সহকারী সার্জেন্ট আব্দুল লতিফ বলেন, রোজায় ইফতারের আগে এমন চাপ সব সময়ই থাকে। এটা নতুন কিছু নয়। সবাই চায় বাসায় বা নিজ গন্তব্যে গিয়ে ইফতার করতে। ফলে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে জ্যামে আটকা পড়ে অনেক গাড়ি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন