সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের গোবিন্দনগরে, মাকুন্দা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামের একমাত্র রাস্তা। এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান। ভাঙন অব্যাহত থাকায়, এই বর্ষায় প্রতিনিয়ত শঙ্কায় দিনি কাটছে গ্রামবাসীর।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দনগর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মাকুন্দা নদী। গ্রামের মূল রাস্তা আগেই গ্রাস করেছে নদী। বর্তমানে ভাঙন কবলিত পাড়ের কিছু অংশে বাঁশের বেড়া ও বালুভর্তি বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। এর পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন গ্রাম ও এলাকার লোকজন। নদীপাড়ের কাছেই ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে গ্রামের জামে মসজিদ ও একটি কবরস্থান।
কথা হয় গোবিন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমদের সাথে। তিনি জানান, ‘গ্রামটিতে শতাধিক পরিবারের বসবাস। আর কয়েক ফুট নদী ভাঙলেই বিলীন হয়ে যাবে অনেকের বাড়িঘর, মসজিদ, কবরস্থান। আমরা বারবার বাঁশের বেড়া দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও, কিন্তু সেটা নিতান্ত অপ্রতুল ও দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এখানে সরকারি উদ্যোগে মজবুত
প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘ইতোপূর্বে গোবিন্দনগর গ্রামবাসী ও আমার যৌথ সহযোগিতায় ভাঙন ঠেকাতে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছিল, সেটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ফের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁশের বেড়া ও কিছু বালুভর্তি সিমেন্টের বস্তা দেয়া হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড’সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ জানান, ‘উপজেলা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘ওই ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে বাজেটে অর্থ চাওয়া হয়েছে। পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’