লকডাউনের পাঁচ দিনে সড়কে তেমন যানবাহন না থাকলেও গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিধিনিষেধে গণপরিবহন না থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা আর জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপে কোনো কোনো সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে নাগরিকদের।
বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, কল্যাণপুর, মিরপুর-১, ২, ১০, ১১, ১২, কালশী ও ফার্মগেট ঘুরে সড়কে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা চেকপোস্টে পুলিশ ও ট্রাফিকের যৌথ টিম অন্যান্য দিনের মতোই বাইরে বের হওয়া যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সকাল থেকেই এ এলাকার গুলশান-১ ও গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর সিগন্যালে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।
রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতোই মহাখালী, গুলশান ও বনানী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টহল দল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ২৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন মোহাইমেনুল মোমেনিন। এই দলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আছেন আরাফাত মোহাম্মদ নোমান।
ক্যাপ্টেন মোহাইমেনুল মোমেনিন জানান, তাঁরা মূলত কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে যানবাহন ও বাইরে আসা নাগরিকদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
ডিএমপি ট্রাফিকের (গুলশান) অতিরিক্ত উপকমিশনার জাকির হোসেন বলেন, অফিস সময়ের শুরু থেকেই এ এলাকার সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে মামলাও দিতে হয়েছে বেশিসংখ্যক যানবাহনকে।
ডিএমপি ট্রাফিকের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘লকডাউনের বিধিনিষেধে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এই এলাকায় ১৬টি টিম কাজ করছে।’
মোহাম্মদপুরের বছিলা, গণভবনের আগের সিগন্যালের দুই দিকের সড়কে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
ডিএমপি ট্রাফিকের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার কাজী হানিফুল ইসলাম জানিয়েছন, সকাল থেকে বছিলা বুদ্ধিজীবী ব্রিজের গোড়া থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও যানবাহন অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। এই জোনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিকের তিনটি টিম কাজ করছে।