চলছে রমজান। খোলা রয়েছে স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত। সব মিলিয়ে প্রায় পুরো শহরেই যানজট। এর মধ্যে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে তীব্র গরম।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজানে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অফিস চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ফলে অফিস সময় শেষ হওয়ার পরই সড়কে যানজটের তীব্রতা বাড়তে থাকে। কিন্তু সকাল থেকে কেন সড়কে এতো যানজট, খোদ ট্রাফিকের দায়িত্বে নিয়জিত কর্মকর্তারাও বুঝতে পারছেন না।
সংসদ এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্বে নিয়জিত একজন কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়কগুলোতে এমন অবস্থা হয়েছে, এখন আর কোনো দিন-রাত নেই, সকাল-বিকেল নেই, সব সময় জ্যাম লেগেই থাকছে। আমরা (ট্রাফিক বিভাগ) যে কাজ করছি না, তা নয়, কিন্তু কোনো সমাধান আসছে না।
রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়ক, খিলক্ষেত, বনানী, মহাখালী, নাবিস্কো, সাতরাস্তা, মগবাজার, মালিবাগ, পল্টন, কাকরাইল, আবুল হোটেল, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, প্রগতি স্মরণিতে যানজট দেখা গেছে। অন্যদিকে শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর রোড, বিজয়স্মরণী, শ্যামলী, মিরপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে যানজট। শুধু মিরপুর সড়কেই দেখা যায়, টেকনিক্যাল থেকে কল্যাণপুর, শ্যামলী হয়ে আসাদগেট আসতেই ঘণ্টা পার। আর যেসব সড়কে রিকশা চলে সেসব সড়কগুলোতে যানজটের তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে গাবতলীতে আসার জন্য বাসে চড়েছেন পেশায় মিস্ত্রি ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, পল্টন থেকে ফার্মগেট আসতেই অনেক সময় লেগে গেলো। পুরো সড়কজুড়েই তীব্র যানজট। গাবতলী যেতে আরও এক ঘণ্টার বেশি লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
যানজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে চলতি রমজানে কিছুটা ধকল কমাতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নাগরিকরা।