বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে রংপুর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভবিক ছিল। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক কম চলাচল করেছে আন্তঃজেলার রুট গুলোতে। তবে হালকা যানবাহনের চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে কয়েকটি বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে।
ট্রেন চলাচল রয়েছে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস বুড়িমারি লোকাল, দিনাজপুর কমিউটার ট্রেন রংপুর রেল স্টেশন ছেড়ে গেছে। দেখাগেছে, সম্ভব্য দুর্ঘটনা এড়াতে মাথায় হেলমেট লাগিয়ে ড্রাইভার কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রংপুর রেল স্টেশন ত্যাগ করেন।
এদিকে, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে অবরোধবিরোধী শান্তি সমাবেশসহ বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রংপুরের পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত রয়েছে। সকাল থেকে কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু দুরপাল্লার যাত্রী সংকটের কারনে স্বাভাবিক বাস চলাচলে একটু প্রভাব পড়েছে।সকাল থেকে এসআর পরিবহন, এনা পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী, আগমনী পরিবহন,শ্যামলী পরিবহন,হানিফ পরিবহনের কাউন্টার যাত্রী শূন্য দেখা গেছে।
যাত্রী না থাকায় বাস কাউন্টারের লোকজনদের বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে যাত্রী পুরন হওয়ায় কয়েকটি বাস রংপুর থেকে সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে গেছে।
রংপুর কেন্দ্রীয় সিটি বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচল করলেও সংখ্যায় কম। তবে যাত্রীরা ঝুঁকি এড়াতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে গন্তব্যে ছুটছেন নগরীর মডার্ন ও মেডিকেল মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হলেও এখবর লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। রংপুর জেলা সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, দলীয় কার্যালয় এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।বেড়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।
বিকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্তঃজেলা ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল অনেক কম থাকলেও শহরের অভ্যন্তরীণ প্রধান সহ পাড়া মহল্লার সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপার শংকর গাঙ্গুলী বলেন, সকাল থেকে সঠিক সময়ে প্রতিটি ট্রেন রংপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। এ সময় যাত্রীদের কোনো সমস্যা হয়নি।তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রেলস্টেশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন,আন্তঃজেলাসহ সব রুটেই গাড়ি চলাচল কছে। তবে যাত্রী সংকট রয়েছে। ঢাকাগামী দূরপাল্লার কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।জন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ সড়ক-মহাসড়েকে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।