সেতু না থাকায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ১২ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা কষ্টে চলাচল করছেন। উপজেলার ভীমপুর শাইলবাড়ি এলাকায় চিকনি নদীর শাখার ওপর দীর্ঘ ৩০ বছরেও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চাঁদা দিয়ে বাঁশের তৈরি সেতু বানিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। প্রতিবছরই বন্যায় বাঁশের সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ১২ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। জন প্রতিনিধিরা বহুবার আশ্বাস দিলেও সেতু নির্মাণ না করায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩০ বছর ধরে অনেকেই আশ্বাস দিয়েছেন সেতু নির্মাণের। শুধু নির্বাচনের সময় এলেই এই আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে নির্বাচনের পর আর আশ্বাস আর বাস্তবে রূপ নেয় না। স্থানীয়রা বলেন, প্রতিবছরই এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশের সেতু বানিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু এবার বন্যায় বাঁশের সেতু ভেঙে যাওয়ায় আলমপুর ইউনিয়নের ভীমপুর, প্রামাণিক পাড়া, মৌলভীপাড়া, বানিয়াপাড়া, খানপাড়া, শাইলবাড়ি, ডাঙ্গাপাড়া, নলুয়ারডাঙ্গা, কোরানিপাড়া, মহেশখোলা, দর্জিপাড়াসহ আশপাশের ১২ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করতে হয়। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও রোগীরা।
স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, বারবার বাঁশের সেতুটি ভেঙে পড়ায় আমরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে নিতে পারছি না। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। গ্রামের হাটে কমদামে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এবার অর্থের অভাবে বাঁশের সেতুটি পুনরায় বানানো হয়নি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার এলাকার শাইলবাড়ি ঘাটে সেতু নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ না থাকার কারণে বাঁশের সেতুও সংস্কার করতে পারছি না।
রংপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, শাইলবাড়ি ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সেতু নির্মাণ শুরু করা হবে।