উদ্বোধনের পর দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতু রবিবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এসময় বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অনেকেই শখের বশে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য এসেছেন।
এর আগে, শনিবার বর্ণিল উৎসবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর যান চলাচল মনিটরিং করা হবে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। কোনো যান সেতুতে ট্রাফিক আইন বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই ক্যামেরায় ধরা পড়বে। নেওয়া হবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোলপ্লাজায় মোট ছয়টি করে লেন। ক্যাশ ট্রানজেকশন হবে পাঁচটি বুথে। আর এক নম্বর লেনটি হবে অটোমেটিক ট্রানজেকশনের।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, সেতু খুলে দেওয়ার দিন থেকে টোল কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে চাইলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা। কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা আর পিকআপের জন্য ১২০০ টাকা দিতে হবে।
মাইক্রোবাসে লাগবে ১৩০০ টাকা। বাসের জন্য আসনের ভিত্তিতে তিন ধরনের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। ছোট বাসে (৩১ আসন বা এর কম) ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি) ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে (৩ এক্সেল) ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
এছাড়া পণ্যবাহী বাহনের ক্ষেত্রে ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন) ২১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ থেকে ১১ টন) ২৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) পার হতে ৬ হাজার টাকা টোল দিতে হবে। ৪ এক্সেলের বেশি হলে ট্রেইলারে ৬ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলে বাড়তি ১ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হবে টোল বাবদ।