সড়কেই কেটে যাচ্ছে যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীর পুরো দিন। সকাল থেকে শুরু করে রাত, সব সময়ই যানজটে অস্থির নগরজীবন। চৈত্রের গরমে দিনের বেলায় যা হয়ে উঠে অসহনীয়।
নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এখনকার যানজটের অন্যতম কারণ। মিরপুরে কয়েক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এক পাশ বন্ধ। ফার্মগেটে সড়কের অনেকটা জুড়ে চলছে পাইলিংয়ের কাজ।
মগবাজারে রাস্তা কেটে চলছে সুয়ারেজ লাইন মেরামত। এসব সড়কে গাড়ি চলাচলে বাধার কারণে পুরো শহরে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পরছে যানজট। বাড়ছে জনভোগান্তি।
মিরপুর, ফার্মগেট, মগবাজার, রামপুরা এলাকায় হঠাৎ করেই যানজটের মাত্রাটা যেন কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সব পয়েন্ট পাড়ি দিতে এক থেকে দুই ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগছে।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি, এমন প্রশ্ন ঘুরে ফিরেই আসছে নগরবাসী মনে। যানজটের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরীর ভেতরে চলমান বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।
রাজধানীর বহুর কাঙ্ক্ষিত মেট্রেোরেলের কাজ চলছে নগরীর এক মাথা থেকে অন্য মাথা। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে উড়াল সড়কের কাজ। সেই সঙ্গে সড়কে অন্যান্য খোঁড়াখুঁড়ি তো আছেই।
মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে সড়কের পশ্চিম পাশ গেলো প্রায় ৮-৯ মাস ধরে বন্ধ। পূর্ব পাশের ছোট্ট রাস্তায় দুমুখী যান চলাচল করছে। ফলে এই অংশ পাড়ি দিতেই লাগছে কয়েক ঘণ্টা।
মিরপুর সড়কের বেহাল দশার কারণে কল্যাণপুর সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। তাই কল্যাণপুর থেকে আসাদগেট আসতেই লেগে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টা।
একই অবস্থা নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফার্মগেট মোড়। কোন নির্দেশনা ছাড়াই সড়কের বড় একটি অংশ জুড়ে চলছে পাইলিং এর কাজ।
একে তো মেট্রোরেলের কারণে সরু সড়ক। তার উপর এই কর্মযজ্ঞ। ফলে একদিকে মানিকমিয়া এভিনিউ অন্যদিকে বিজয়সরণী থেকে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির জট।
নগরীর আরেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মগবাজার। বাংলামটর থেকে মগবাজার পর্যন্ত সড়কের একপাশ কেটে চলছে সুয়ারেজ লাইন বসানোর কাজ।
ফলে সড়কে কোন বাস চলতে পারছে না। বাসগুলোর চাপ তৈরি হয়েছে আশপাশের অন্যান্য সড়কে। যা চেইর রিয়াকশনের মতো ছড়িয়ে পরছে বিভিন্ন সড়কে।
এমন যখন পরিস্থিতি, তখন যানজট সহনীয় করতে বিকল্প কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ না হলে যানজটের ভোগান্তিও যাবে না।