English

25 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

যত্রতত্র পার্কিং, মধ্যরাতেও যানজটে ভোগান্তি

- Advertisements -

চট্টগ্রাম: বন্দরনগরীতে রমজান ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে দিন ও রাতে। রাতেও যাতে রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।

এরপরেও দিনে তো বটেই রাতেও যত্রতত্র গাড়ি পাকিং করা হয়েছে যানবাহন।

নগরে লোকসংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই তুলনায় নতুন কোনো রাস্তা তৈরি হয়নি। উল্টো যে রাস্তাগুলো রয়েছে, তার বেশিরভাগ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এখন রাতভর চলছে ঈদের কেনাকাটা। তাই মধ্যরাতেও যানজট থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নগরের চকবাজার গুলজার মোড়, আন্দরকিল্লা, বক্সিবিট ও নিউ মার্কেট মোড় ঘুরে একই চিত্র পাওয়া যায়।

এসব এলাকার সব রাস্তায় পাশে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হয়েছে। আবার কোথাও ফুটপাতের দোকানের কারণে যানযাবন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও মার্কেট এলাকার মোড়গুলোতে যেখানে সেখানে লোকাল বাস-লেগুনার যাত্রী উঠানামা তো আছেই।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, রাতে সড়কে যানজটের পেছনে অন্যতম কারণ হলো ঈদের কেননকাটার জন্য মার্কেট ও বিপণি বিতানমুখী যানবাহনের চাপ। নগরের অধিকাংশ মার্কেটগুলোতে পাকিং ব্যবস্থা নেই। যার কারণে অধিকাংশ গাড়ি সড়কে ও ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র পাকিং করা হয়।

এদিকে সিএমপি ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রমজানে টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দীন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন ও মার্কেটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একাধিক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।

সড়কে সিডিএ, চসিক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার উন্নয়নমূলক কাজের কারণে অনেক সময় রাস্তায় যানজট থাকে। সিএমপির ট্রাফিক উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম বিভাগের অধীনে ৪০ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং ২০০ জন সার্জেন্ট দায়িত্ব পালন করেন। যেখানে যানজটের মাত্রা বেশি সেখানে কম যানজটপূর্ণ এলাকার জনবলকে অতিরিক্ত হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। যেখানে মানুষের সমাগম বেশি থাকবে, সেখানে জনবল বাড়ানো হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাতের ওপর ইফতারের দোকান বসতে না দেওয়া, বিভিন্ন শপিংমলের সামনে অবৈধ পার্কিং রোধ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা ও মলম পার্টির উপদ্রবরোধে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।

সিএমপির ট্রাফিক বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বন্দর বিভাগে মার্কেট ও বিপণি বিতানের সংখ্যা অন্য বিভাগের তুলনায় কম। বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি অফিসও রয়েছে। একসঙ্গে ইপিজেডে গার্মেন্টস ছুটি হলে যানজট সৃষ্টি হয়। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে রাস্তায় যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

সিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, আমাদের ১৫ রমজান পর্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মে ট্রাফিক সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। ১৫ রমজানের পর থেকে প্রত্যেক এলাকায় অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।

সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রমজানে রাস্তায় মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন