ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর, আশ্রাফপুর ও ডুমুরিয়াসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাটাখালী খাল। পথচারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হলেও সেটির অবস্থা বেহাল। এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দ্রুতসময়ে সাঁকোটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০১৬ সালে কাটাখালী খালের ওপর কাঠের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে সাঁকোটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাঁকোর নিচে কাঠের পাটাতনগুলোর বেশিরভাগ ভেঙে ফাঁকা হয়ে গেছে। হাত দিয়ে ধরার রেলিংগুলোও প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও মাতুভূঞা প্রাথমিক বিদ্যালয়, করিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও মাতুভূঞা মাদরাসার অসংখ্য শিক্ষার্থী সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে। চলাচল করতে গিয়ে পা আটকে যাওয়াসহ প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. আলী বলেন, সাঁকোটি দিয়ে আমার বোর্ড অফিসে যাওয়া লাগে। এটি ঠিক না থাকায় অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়। এজন্য আমাদের সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হক বলেন, ‘কাঠের সাঁকোটি দিয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুল-মাদরাসায় যায়। তারা ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। এটি তৈরি করার পর আর সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে সাঁকোটি ঠিক করা দরকার।’
এ বিষয়ে মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খুব শিগগির নতুন করে একটি সাঁকো তৈরি করা হবে। চলতি মাসে প্রকল্প পরিচালক এলে আমরা এ বিষয়ে দাবি জানাবো।