দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সেচ্ছাশ্রমে ১কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের মানকিরা,রনগাও,ভাদুরিয়া ৩ গ্রামের গ্রামবাসি দীর্ঘদিন উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরেও কোন ফল না পেয়ে, নিজেরাই উদ্দ্যেগ নিয়ে ১কিঃমিঃ চলাচলের অনুপযুক্ত কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছে।
সরেজমিন দেখা যায় বিপুল উৎসাহে গ্রামের লোকেরা কেউ রাস্তার কাদা টেনে সেখানে ইটের টুকরা ফেলছেন। অনেকে সেই ইটের টুকরা গুলো হাতুড়ির আঘাতে ভেঙ্গে সমান করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মোস্তফা কামাল (ভেন্ডার) জানান, অনেক কষ্ট করে ক্ষেতে ফসল ফলাই কিন্ত সব ফসল ঘরে তুলতে পারিনা খারাপ রাস্তার কারনে। ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে যেতে সমস্যা হয়, যে কোন জিনিষ বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যেতে সমস্যা হয়,কোন রুগি হাসপাতালে নিতে মহা ঝাসেলায় পড়তে হয়। যার কারনে রাস্তাটি জরুরী ভাবে সংস্কার দরকার ছিলো। তাই আমরা কারো জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরাই কাজ শুরু করে দিয়েছি।
দীর্ঘদিন রাস্তাটিতে সরকারিভাবে কোনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি। বিভিন্ন স্থানে মাটি ধসে রাস্তা ভেঙে গেছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে। চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার কৃষকেরা। তাঁরা মাঠের ফসল ওই রাস্তা দিয়ে ঘরে তুলতে পারছেন না। তাই মানকিরা,রনগাও,ভাদুরিয়া ৩ গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। গত ১সপ্তাহ থেকে ২০-২৫ জন গ্রামবাসি রাস্তা সংস্কারে কাজ করছেন। এ কাজ শেষ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন প্রদিপ রায় (মেম্বার),আছর উদ্দিন,চান মিয়া। সহযোগিতায়-মোঃ মুনসুর আলী, দিনো বন্ধু, সমারু, সরুজ আলী, মোঃ রহিম, সুবাশ, আহসান হাবিব, মমিনুল, কামাল, আরমান আরো অনেকে।
আছর উদ্দিন জানান, গ্রামের সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়েছি। প্রায় ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া সবাই স্বইচ্ছায় শ্রম দিয়ে সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন।
দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জনগনের কাজ করার জন্য এম পি হয়েছি,জনগনের কষ্ট দুরকরার জন্য এই কাচা রাস্তা আমি অচিরেই পাকা রাস্তা করার ব্যবস্থা করবো সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহেশ চন্দ্র রায় বলেন, সীমিত বরাদ্দ থাকায় এ রাস্তার সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে সংস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।